1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

“পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী- “প্লেবয়” ইমরান খানের অভিমানঃ পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও সুশাসন “দুর হ্যায় সুখ কা গাঁও”\

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৮৬ বার পঠিত

: মুজিবুর রহমান মুজিব:

প্রাচীন কাল থেকেই প্রাচীন অভিবক্ত ভারত বর্ষ ছিল সভ্য, সম্বৃদ্ধ ও ঐহিত্যবাহী জনপদ। ভারতের অফুরান প্রাচ্যুর্য্য ধন সম্পদ, অপরূপ প্রাকৃতিক নিসর্গে আকৃষ্ট হয়ে যুগে যুগে ঐ দেশে এসেছেন ভিনদেশী গন। বাংলা সাহিত্যের কাল জয়ী প্রতিভা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রেক্ষিতে যথার্যই বলেন- “হেথা আর্য্য, হেথা অনার্য্য হেথা দ্রাবিড় চীন শখহুন দল পাঠান মুঘল এক দেহে হল লীন”। বিশ্ববিখ্যাত বৃটিশ ইতিহাসবিদ ভিনসেন্ট স্মিথ (ঠরহংবহঃ ঝসরঃয) ও তাই প্রাচীন ভারত বর্ষকে-পৃথিবীর নৃতাত্বিক যাদুশালা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বলা হয়ে থাকে আর্য্য জাতিই (ঞযব অৎরধহং) ভারতীয় সভ্যতার বুনিয়াদ-ভিত-নির্মাতা ও প্রচারক। কিন্তু প্রাচীন ইতিহাসে প্রমাণ পাওয়া যায় ভারত বর্ষে আর্য্য আগমনের পূর্বেও দ্রাবিড় জাতির বসবাস এবং “দ্রাবিড় সভ্যতা” (উৎধনর-ৎরধহ ঈরারষরুধঃরড়হ) এর অস্থিত্ব বিদ্যমান ছিল। আর্য্য জাতি ভারতীয় সভ্যতাকে সম্বৃদ্ধ করেছেন বিনির্মান করেন নি।
আধুনিক পাকিস্তানের মহেন জোদারো (গড়যবহলড় উধৎড়) ও হরপ্পায় (ঐধৎড়ঢ়ঢ়ধ) আবিষ্কৃত প্রতœতত্ব ও নৃতাত্বিক নিদর্শনা দিতে প্রমাণিত হয়েছে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে এখানে একটি সভ্যতা বিদ্যমান ছিল। এই সভ্যতা প্রাচীন পারস্য, মিশরীয় ও মেসিপটেমিয়ান সভ্যতার সমসাময়ীক। মহেন জোদারো ও হরপ্পার সঙ্গেঁ মিশরীয় সভ্যতার যোগাযোগ ছিল। প্রাচীন কালে নদনদীকেই কেন্দ্র করে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতাকে নীল নদেরই (ঞযব ঘরষবং) অবদান বলা হয়ে থাকে।
ভারতীয় গঙ্গাঁ, বঙ্গীঁয়, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এবং পঞ্চ নদীর দেশ পাঞ্জাবে মানব সভ্যতা গড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান ছিল এবং এসব অঞ্চলে মানব সভ্যতা গড়েও উঠে ছিল। মানব সভ্যতার ইতিহাস সংগ্রাম, শ্রেণী সংগ্রামেরই ইতিহাস। ভারত বর্ষে বৃটিশ বেনিয়া কর্তৃক দুইশত বৎসরের সীমাহীন লুন্ঠন-ঝুলুম নির্য্যাতন এর প্রতিবাদে ভারত বাসির ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফল ও ফসল বৃটিশ বিদায়-ভারত বিভক্তি এবং পাকিস্তান ও হিন্দুস্থান নামে দুইট স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও জন্ম।
পাকিস্তানের স্বপ্ন দ্রষ্টা ছিলেন কবি দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ আল্লামা স্যার মোহাম্মদ ইকবাল। পাকিস্তানের নামাকরন করেন পাঞ্জাবের কথিত চিন্তাশীল যুবক-আহাম্মক ও বুর্বক রহমত আলী।
তাঁর মর্ম মতে পাঞ্জাব-এর-পি, আফগানিস্তানের-এ-কস্মির-এর-কে, সিন্ধু উপত্যাকা-ইন্ডাস ভ্যেলির “আই” এবং বেলুচিস্তানের শেষাংশ টি,এ,এন, নিয়ে পাকিস্তান নামাকরন করা হয়। পাঞ্জাবি চিন্তাশীল যুবক রহমত আলী পাকিস্তানের নামাকরনে তার প্রদেশ পাঞ্জাব এর পি প্রথমে রাখলেও বঙ্গঁ দেশের নামটিই বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন-মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাসভূমি-পাকিস্তানের নামাকরনে তৎকালীন বেঙ্গঁল-বাংলা-পূর্ব বঙ্গেঁর নাম সংযুক্ত করেন নি, চিন্তাশীল যুবক রহমত আলীর চিন্তায় আসে নি। পাকিস্তানী জাতির জনক হিসাবে আবির্ভূত হন করাচির এক চামরা ব্যবসায়ী জিন্নাহ পুঞ্জার পুত্র মেট্রিকুলেট-ব্যারিষ্টার পাশ্চাত্য চিন্তা চেতনা ও ভাব ধারার বেড়ে উঠা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। তেমন দীক্ষা ও নেননি। ভারতীয় মুসলমানদের স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার লক্ষ্যে দ্বিজাতি তত্ত¡ মূলক টু-নেশন-থিত্তরি-চৌদ্দ দফা কর্ম সূচীর মাধ্যমে বিভক্ত ভারতের ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্র প্রধান গভর্নর জেনারেল হন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ইতিমধ্যে তিনি “কয়েদে আযম” এবং পাকিস্তানী জাতির জনক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ সময় পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ছিল পাকিস্তান।
নামকা ওয়াস্তে ইসলামি রিপাবলিক অব পাকিস্তানের প্রথম গণ পরিষদের ভাষনে নূতন রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারনী ভাষনে ঘোষনা করেছিলেন-আজ থেকে আমরা হিন্দু কিংবা মুসলিম নই, আমরা পাকিস্তানী। (ঋৎড়স ঃড়ফধু বি ধৎব হড়ঃ ঐরহফঁ, হড়ঃ গঁংষরস বি ধৎব চধশরংঃধহর) নব গঠিত সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র-মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমি-টুনেশন থিওরির প্রবক্তা পাক গভর্নর জেনারেল কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম এর সম্মিলনে নূতন “পাকিস্তানী জাতি” গঠনের সময় ও সুযোগ পাননি। স্বাধীনতার উষা লগ্নেই তিনি ইন্তিকাল করেন।
তাঁর মৃত্যো নিয়েও রহস্য আবিস্কিৃত হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন মিঃ জিন্নাহকে শ্লো পয়জনিং করা হয়েছে অসুস্থ, ক্লান্ত, কৃষকায় জিন্নার যথাযথ চিকিৎসা হয়নি-তাছাড়া তাঁর পারিবারিক-দাম্পত্য জীবন সুখময় ছিল না। জিন্নাহর মৃত্যোর পর তাঁর বিশ্বস্থ সহচর প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী খাঁন ও অজ্ঞাতনামা আততায়ীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত হন। যে কোন ধর্ম প্রাণ মুসলমান মৃত্যোর সময় আল্লাহ রাসুলের নাম নিয়ে কলমা শাহদাত পাঠ করতে করতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, পাকিস্তান প্রেমিক পাক প্রধানমন্ত্রী কায়দে মিল্লাত লিয়াকত আলী খানের শেষ উচ্চারন ছিল “খোদা পাকিস্তানকা হেফাজত করো”। কিন্তু খোদা পাকিস্তানের হেফাজত করেন নি, একদিন পাকিস্তানের মৃত্যো হয়েছে-পাকিস্তান ভেঙ্গেঁ গেছে।
অখন্ড পাকিস্তানের আয়ূস্কাল সাত চল্লিশ থেকে একাত্তোর। এই সময় কাল পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানে ইসলাম ও সংহতির নামে বাঙ্গাঁলি ঝুলুম নির্য্যাতন হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নি। ইসলাম ধর্মে মদ, জুয়া, গনিকালয় হারাম নাজায়েজ ও নিষিদ্ধ হলেও পাকিস্তানে তা-ছিল। ক্ষমতা লিপ্সু পাঞ্জাবি আমলা তন্ত্র, উচ্চা ভিলাসি সামরীক জান্টা এবং নীতিহীন নপুংসক নষ্ট রাজনীতিবিদ এই ভ্রষ্ট তিন এর অশুভ মিলনে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ছিল দুঃস্বপ্ন-দুর হ্যায় সুখ কা গাঁও।
দেশ ও জাতি, বাংলা ও বাঙ্গাঁলির সেই কঠিন দূঃসময়ের দিনে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী আন্দোলনের মহানজনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বায়ত্ত শাসন থেকে স্বাধীকার আন্দোলনে এগিয়ে নিয়ে যান। স্বাধীকার আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে আনুষ্টানিক ভাবে অখন্ড পাকিস্তানের মৃত্যো হয়, পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় নবীন রাষ্ট্র “বাংলাদেশ”-এর। পাকিস্তানের জীবনের প্রথম ও শেষ সাধারন নির্ব্বাচন-১৯৭০ সালের সাধারন নির্ব্বাচনকে আওয়ামীলীগ প্রধান বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ছয় দফা কর্ম্মসূচীর রেফারেন্ডাম হিসাবে ঘোষনা দেন। ছয় দফা কর্মসূচীর মূল মর্ম বানী ছিল বাংলা ও বাঙ্গাঁলির অর্থনৈতিক মুক্তির দাবী সম্বলিত পূর্ন প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন, অপর পক্ষে জামায়াত, মুসলীম লীগ, জুলফিকার আলী ভুট্টু গং দের দাবী ছিল পাকিস্তানের অখন্ডতা ও শক্তিশালী কেন্দ্র। সত্তোর সালের সাধারন নির্ব্বাচনে পূর্ব বাংলা ও পাকিস্তানের জনগন পূর্ন প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন এর পক্ষে রায় দেন, বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর দল নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করেন। নীতিগত ভাবে ব্যেলট এর মাধ্যমেই দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ফৌজি শাসক লেঃজেঃ এ,এম, ইয়াহিয়া খাঁন বঙ্গঁবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর না করে পঁচিশে মার্চের কালো রাত্রিতে “অপারেশন সার্চ লাইট” নামে বাঙ্গাঁলিদের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষনা করেন।
একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের চূড়ান্ত বিজয় শেষে খন্ডিত পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল পশ্চিম পাকিস্তান, পাকিস্তান নামে লেংড়াতে লেংড়াতে পাকিস্তানী জীবন শুরু হয়। একাত্তোরের গন হত্যার নাটের গুরু ও কুমন্ত্রনা দাতা লাড়কানার ভূম্যাধিকারি লাড়কার পাকিস্তান পিপুলস পার্টি পি.পি.পি.একক দলগত ভাবে সংখ্যা গরিষ্টতার জোরে লেংড়া পাকিস্তানের সরকার গঠন করেন। পাঞ্জাব, সিন্ধু বেলুচিস্তান, ইত্যাদি কয়েকটি প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিম পাকিস্তানে সমগ্র পাকিস্তানী শাসনামলে পাকিস্তানী ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি গড়ে উঠেনি। পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের মধ্যে খাঁন আব্দুল ওয়ালী খাঁন, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি, জুলফিকার আলী ভূট্টো, নবাব জাদা নসরুল্লা খাঁন, মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খাঁন দৌলতানা, খাঁন আব্দুল কাইয়ূম খাঁন, মাহমুদ আলী কাসুরি, নওয়াজ শরীফ প্রমুখ পাকিস্তানে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে গনরাজনীতি ও রাজনৈতিক চর্চাও বিকাশের পথকে সুগম করতে পারেন নি। বরং এই সব রাজনীতিবিদ গণ কম বেশি পাকিস্তানী উচ্চা ভিলাসি সেনা কর্মকর্তাদের হাতের পুতুল ছিলেন। মেজর জেনারেল ইস্কন্দর মির্জা, ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খাঁন, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, জেনারেল জিয়াউল হক প্রমুখ পাকিস্তানী সেনাপতি সেনা কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে পাকিস্তানের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করেছেন। কুচক্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ক্ষমতাকে পাকা পোক্ত করার মানষে যে সেনা কর্মকর্তাকে সুপার সিট জেনারেল বানিয়ে সেনা প্রধান বানিয়ে ছিলেন সেই জেনারেলই তাকে “আই উয়িল হ্যেং দিস ভাষ্টার বলে ফাঁসির কাষ্টেই ঝুলিয়ে ছিলেন। ভূট্টো তনয়া বেনজির ভূট্টো পিতার পদাংক অনুসরন করে পাকিস্তান পিপুল্স পার্টি-পি.পি.পি. এর দায়িত্ব ভার নিয়ে তারুন্য, কর্ম চাঞ্চল্য ও মেধা দিয়ে ভূট্টো সমর্থক দের সমর্থন আদায় করতে সমর্থ হন। পাকিস্তানী রাজনীতিতে আওয়াজ উঠে বেনজির বেনজির ভূট্টো কি তসবির।
কিন্তু দূর্ভাগ্যেজনক ভাবে ভাঙ্গাঁ পাকিস্তান এর বেনজিরি শাসনামল ও সুখ কর ছিল না। স্বামী আসিফ আলী জার দারি মিঃ টেনপার্সেন্ট হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেন। পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ছিল সুদুর পরাহত। পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের মধ্যে অপেক্ষা কৃত জয়প্রিয় বিদেশ পড়ূয়া বেনজির ভূট্টোকে ও আততায়ীর হাতে প্রাণ দিতে হয়।
১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক দল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ পরবর্তী কালে বহুধা বিভক্ত হয়েছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারি দলটি পাকিস্তানী স্বাধীনতার এক দশকের মাথায় সেনা শাসক জেনারেল আয়ূব খাঁন-মারি-তে কনভেনশন ডেকে দেশের মত দলকে ও পদানত ও গলাঃ ধকরন করেন, আয়ূব পহ্ণী এই অংশটি কনভেনশন-“মুসলিম লীগ” হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। অপরাংশ সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিল মুসলিম লীগ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ এর প্রবীন নেতা খাঁন আব্দুল কাইউম খাঁন এর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ এর একাংশ কাইউম লীগ নামে খ্যাত ছিল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ধনকুবের নেওয়াজ শরীফ পাকিস্তানী রাজনীতির নেপথ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষমতালিপ্সু সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁদের সদিচ্ছা ও দয়ায় মুসলিম লীগের নেওয়াজ অংশ পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেওয়াজ-পি.এম.এল.এন.এর নেতা নেওয়াজ শরীফ সহোদর শাহবাজ শরীফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার দিয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভূত হন-প্রধান মন্ত্রী হন। পাকিস্তানী রাজনীতির গড ফাদার-নেপথ্য নিয়ন্ত্রক- পাঞ্জাবি আমলাতন্ত্র, সামরীক জান্টা- কায়েমী স্বার্থ বাদি মহল নিজেদের স্বার্থই সংরক্ষন করেছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গনতন্ত্রের পথকে সুগম হতে দেয় নি। পার্লামেন্টারি ডেমক্রেসির চাইতে “লুটক্রেসি ও বুটক্রেসির” প্রতি নযর ছিল সামরীক জান্টা ও আমলা তন্ত্রের, ফলতঃ পাক প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম লীগ-নেওয়াজ নেতা, শরীফ ইনসান নেওয়াজ শরীফ এর বিদায় ও সুখকর ছিল না, সেনা ষড়যন্ত্রে অপমান ও অসম্মান জনক ভাবে ক্ষমতাচ্যোত হন তিনিও।
পাকিস্তান ক্রিকেটের উজ্জল নক্ষত্র, পাশ্চত্য জীবন যাপন ও চিন্তা চেতনার অধিকারি পাকিস্তানী কাপ্তান প্লেবয়-সুদর্শন ইমরান খাঁন খেলোয়াড়ি জীবন শেষে যোগ দেন পাকিস্তানী রাজনীতিতে, কোন রাজনৈতিক দলের সাধারন সদস্য পদ নিয়ে নয়, নিজেই গঠন করেন একটি নূতন রাজনৈতিক দল “পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ-পি.টি.আই.। ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এর রাজনীতিতে তখন কোন ইসলামি দল নয়, পিপুলস পার্টি ও মুসলিম লীগ এর প্রাধান্যই অধিক।
খেলার মাঠে ছক্কা হাকানো ক্রিকেট দুনিয়ার কাপ্তান নাম্বার ওয়ান সুদর্শন ও সুবেশি ইমরান খান এবং তাঁর দল পি.টি.আই.পাকিস্তানী রাজনীতিতে তেমন কোন চমক সৃষ্টি কিংবা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ইমরান খান এবং পি.টি.আই. পাকিস্তানী রাজনীতিতে কোন ইতিবাচক অবদান না রাখলেও পাকিস্তানী রাজনীতির নৈপথ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা লিপ্সু ও উচ্চাভিলাসি সামরীক জান্টা এক ইমরান খানকে নিয়ে গোপন ষঢ়যন্ত্র পরিকল্পনা ও হিসাব নিকাশ করতে থাকেন। রাজনৈতিক মঞ্চের নবীন কুশিলব হলেও খেলার মাঠের ঝানু খেলোয়াড় পাকিস্তানী প্লেবয় ইমরান খান পাকিস্তানী প্রাষাদ ষঢ়যন্ত্রী, কায়েমী স্বার্থবাদি ও কুচক্রি মহল ঝান্টা-আমলাদের সঙ্গেঁ আঁতাত করে দাসখত দেন নবীন রাজনীতিবিদ ইমরান খাঁন। সামরীক জান্টা ও আমলাতন্ত্র পাক রাজনীতির প্রাচীন দল মুসলিম লীগ, আধুনিক কালের জনপ্রিয় দল পিপুলস পার্টিকে সাইড লাইনে বসিয়ে এবং ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের ইসলামিক দল সমূহকে ছিল্লায় পাঠিয়ে-মায়নাস করে নূতন দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পি.টি.আই.কে ক্ষমতায় আনেন, নবীন নেতা ইমরান খাঁনকে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী বানান। পাকিস্তানে বর্ত্তমানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার বিদ্যমান। সরকার পদ্ধতি সমূহের মধ্যে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার অপেক্ষাকৃত জবাব দিহিতা মূলক জনবান্ধব। সাত চল্লিশি স্বাধীনতার পর এক সঙ্গেঁ ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে আমাদের নিকট প্রতিবেশি ভারত বর্ষ স্থিতিশীল সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ভারত নেতা পন্ডিত জয়াহের লাল নেহেরু রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় সাধন করে ছিলেন। আমাদের অখন্ড পাকিস্তানী আমলে ৪৭ থেকে ৭১ পর্য্যন্ত পাকিস্তানী ক্ষমতা লিপ্সু গণ বিরোধী শাসক চক্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে পদানত করে রেখেছিল। ৫৪ সালের পূর্ব পাক প্রাদেশিক পরিষদের নির্ব্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি ও গোহারা এবং যুক্ত ফ্রন্ট্রের ঐতিহাসিক বিজয়ে আর নির্বাচনের নাম নেয় নি পাক শাসক চক্র, এবডো,প্রডো, ডি,পি, আর, জাতীয় কালা কানুন জারী এবং বাঙ্গাঁলিদের প্রিয় নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাবন্দী এবং সর্বশেষ আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে গণরাজনীতিকে বিকশিত হতে দেয়নি, মানবাধিকার ও আইনের শাসন ছিল দূঃস্বপ্ন।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খাঁন তাঁর দলের একচ্ছত্র নেতা হলেও সরকার প্রধান হিসাবে খেলোয়াড়ি জীবনের মত কোন ক্যারিসমা কিংবা চমক দেখাতে পারেন নি, করনা, লকডাউন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অশান্তি, দাঙ্গাঁ হাঙ্গামা প্রতিবেশি আফগানিস্থান সংকটের কারনে পাকিস্তানের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে নি, বরং ভঙ্গুঁর ও স্থবির ছিল। ২০১৯-২০ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ০.৪ শতাংশে নেমে এসেছিল, এটি এখন ২-৪ শতাংশে পৌঁছালেও জনসংখ্যার নিরিখে তা অপ্রতুল। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গিঁ নেই, বরং নেতিবাচক। অশান্ত পাকিস্তানে সম্প্রতি গোঁদের উপর বিষ পোড়ার মত আবির্ভূত হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গীঁ সংঘটন তেহরিক-ই-লাব্বায়েক। ইমরান খানের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার পূর্ব্বক হাজতাবদ্ধ করে রেখেছেন ইমরান সরকার। তাঁর দলকেও নিষিদ্ধ করেছেন সেনা সমর্থিত ইমরান সরকার। নেতাবন্দী, দলনিষিদ্ধ হলেও সাদমান সমর্থক গণ ইমরান সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করেছেন। লাব্বায়েক নেতা সাদমান সাদ সমর্থক গণ তাকে মুক্তির দাবীতে লাহোরে পুলিশের সঙ্গেঁ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সাত জন সাদ পহ্ণী শাহদাত বরণ করেন। বিক্ষুদ্ধ ও বিদ্রোহী সাদ সমর্থকগণ দুই জন পাকিস্তানী পুলিশকে হত্যা করলে অশান্ত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অধিকতর অশান্ত হয়ে উঠেছে, অসহায় ইমরান সরকার লাহোরে আধা সামরীক বাহিনী নিয়োগ করেছেন।
পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার এবং পাকিস্তান সেনা বাহিনীর সঙ্গেঁ হাল আমলে সম্পর্ক ও সখ্যতার শীতল পর্য্যায় চলছে। এই নিয়ে জাতীয় দৈনিক মানব জমিনে গেল সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে-হচ্ছে। পাকিস্তানী প্রখ্যাত দৈনিক ‘ডন’ অনলাইন অবলম্বনে সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিনে ‘আসলে কি ঘটছে পাকিস্তানে’ শিরোনামে মানব জমিন ডেস্ক এর তথ্য মতে পাকিস্তানী সেনা গোয়েন্দা সংস্থা-ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স-আই,এস,আই,এর মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাকিস্তান সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল কমর জাবেদ বাজওয়ার মধ্যে মত পার্থক্য ও মনোমালিন্য চলছে। আই,এস,আই, এর ডি.জি নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বাজওয়ার বে-আদবিতে নিদারুন ভাবেই অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং-ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস-আই,এস,পি, আর, এর তথ্য মতে গত ৬ই অক্টোবর আই.এস.আই.এর শীর্ষ পদে রদবদল করেন সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাবেদ বাজওয়া। করাচি কোরের কোর কমান্ডার লেঃ জেনারেল নাদিম আহমদ আনজুমকে আই.এস.আই.এর নূতন ডিজি নিয়োগ দিয়ে বর্ত্তমান মহা-পরিচালক লেঃ জেনারেল ফয়েজ হামিদকে পেশোয়ার কোর এর কোর কমান্ডার হিসাবে বদলি করেন সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। আই.এস.আই এর বর্ত্তমান ডিজি লেঃ জেনারেল ফয়েজ হামিদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আস্থা ভাজন ছিলেন। আফগান সংকট এবং দেশের বর্ত্তমান অশান্ত ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চেয়েছিলেন আই.এস.আই প্রধান জেনারেল হামিদ আরো কিছুদিন স্বপদে বহাল থাকুন কিন্তু সেনা প্রধান সরকার প্রধান এর সঙ্গেঁ কোন পরামর্শ না করে তাঁর মর্জি মাফিক সেনা বাহিনীর শীর্ষ পদে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করেন। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা সরকার প্রধান এবং মুখ্য নির্ব্বাহী-চীফ ‘এক্সিকিউটিভ’ও বটে। এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদে পদোন্নতি, পদায়ন, নিয়োগ বদলিতে সরকার প্রধান ও মুখ্য নির্বাহী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীই মুখ্য ভূমি পালন করেন।
পাক পি,এম,এই নোটিফিকেশনে স্বাক্ষর কিংবা অনুমোদন দেন নি। এই নিয়ে শিষ্টাচার ও সৌজন্য বহির্ভূত ভাবে সেনা প্রধান পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেঁ বার বার দেখা করছেন। এই নিয়ে পাকিস্তানী সমাজ ও রাজনীতিতে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকার প্রধান ও সেনা প্রধানের এই মত পার্থক্যে ক্ষোভ ও অসন্তুষ প্রকাশ করেছেন মুসলিম লীগ নেওয়াজ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নেওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপুলস পার্টি পি.পি.পি. প্রধান বিলাওয়াল ভূট্টো জারদারি।
সেকাল থেকে একালের অশান্ত জনপদ পাকিস্তান একটি প্রাচীন জনপদ। হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য পেরিয়ে হাল আমলেও একজন পাকিস্তানী কবি আল্লামা স্যার মোহাম্মদ ইকবাল আশরারে খুদি, শিকওয়া ও জওয়াবে শিকওয়া-তে তাঁর মনন-দর্শন ও কাব্য প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন। উর্দূ ও পুশতু সাহিত্যের এই পন্ডিতের অমর সৃষ্টি- “সারা জাঁহানে আচ্ছা-হিন্দুস্থা হামারা- সঙ্গীঁতটি পাক ভারতের চীর বৈরিতার মাঝে ও ভারত বর্ষে সসম্মানে গীত হয়। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে পাকিস্তানী দুই সঙ্গীঁত শিল্পী কোকিল কন্ঠী গায়িকা ও নায়িকা নূরজাহান এবং শাহেন শাহ্ এ গজল মেহদি হাসান উপমহাদেশীয় সুরের ভূবনে সুরের যে ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করে ছিলেন তাঁর রেশ এখনও শেষ হয়নি। ঐ সময়ে পাকিস্তানী চলচ্চিত্র শিল্পী আসলাম, মোহাম্মদ আলী, কামাল, সন্তুষ, হাবিব, শামীম আরা, সাবিহা, নীলু, জেবা প্রমুখ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পীদের সঙ্গেঁ প্রতিযোগিতা করে শিল্প, সৌন্দর্য্য ও নান্দনিকতার গুনে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পরমানু বিজ্ঞানী ডক্টর আব্দুল কাদের খান ছিলেন একাই এক’শ। সেকাল থেকে এ কাল পর্য্যন্ত পাকিস্তানের এত সব ঐহিহ্যের মাঝে ও উচ্চাভিলাসি আমলাতন্ত্র, ক্ষমতালিপ্সু সামরীক জান্টা এবং চরিত্রহীন-মেরুদন্ডহীন-কতেক ভ্রষ্ট রাজনীতিবিদ মিলে বানিজ্যায়ন দুবৃত্তয়ান সন্ত্রাস, দূর্নীতির মাধ্যমে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কায়েম হতে দেয়নি। সাত চল্লিশ থেকে দুই হাজার একুশ পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন যেই তিমিরে সেই তিমিরেই।
ষাটের দশকে পাকিস্তানের একজন প্রখ্যাত সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন-এ.জে.কারদার। তাঁর একটি সৃষ্টি ধর্মী চলচ্চিত্র “দুর হ্যায় সুখ কা গাঁও”।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাএ.জে.কারদার এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা যায় পাকিস্তানে গনতন্ত্র ও আইনের শাসন কাঁঠালের আমসত্ত এবং সোনার পাথর বাটির মত। তাই বলাই যায় পাকিস্তানে গণতন্ত্র – “দূর হ্যায় সুক কা গাঁও”।

[ষাটের দশকের লেখক-সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। আইনজীবী। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..