শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : শিরোপা নির্ধারণী কোনো ম্যাচ নয়, শ্রীলঙ্কায় মাহেন্দ্র রাজাপাকসে চার জাতি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের সাধারণ একটি ম্যাচ। তবুও রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উদযাপন লাল-সবুজ বাহিনীর।
হবেই না বা কেন! এই জয়ে জামাল ভূঁইয়াদের এনে দিয়েছে বিশেষ প্রশান্তি। ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আর এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছরের জয়খরা কাটাল জামালরা।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) চার জাতি টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মারিও লেমোসের শিষ্যরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে দলীয় কাপ্তান জামাল ভুঁইয়ার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ৩৩ মিনিটে গোল শোধ করে মালদ্বীপ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন সাফে দুর্দান্ত খেলে আসা তপু বর্মন।
এর আগে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ সিশেলসের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮৭ মিনিটের গোলে। সাফে নেপাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছিল ৮০ মিনিটের পর। এবার অবশ্য ঘটলো ঠিক উল্টো ঘটনা। এদিন ম্যাচের ৮৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। জুয়েল রানাকে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে ফেলে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক।
রেফারি পেনাল্টির সংকেতে এগিয়ে আসেন তপু বর্মণ। পেনাল্টি শট নেন তিনি। ডিফেন্ডার হলেও পেনাল্টিতে সবচেয়ে সফল তিনি। তপু বর্মণের নেওয়া শট ঠেকাতে ব্যর্থ হয় মালদ্বীপের গোলরক্ষক। বাংলাদেশ ২-১ গোলের লিড পায়।
এদিকে, প্রায় ৮ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে তার নেতৃত্বে খেলছে লাল-সবুজ বাহিনী। তবে একটা অতৃপ্তি ঠিকই ছিল তার। কারণ এতদিন তার নামের পাশের ছিল না কোনো গোল। অবশেষে নিজের ৫৯তম ম্যাচে খেলতে নেমে অধরা গোলের দেখা পেলেন জামাল। আর বাংলাদেশও জিতল দারুণভাবে।
এদিকে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের সমীকরণে টিকে রইলো বাংলাদেশ। তবে এদিন হারলেই পথ অনেকটা কঠিন হয়ে যেত জামাল ভূঁইয়াদের জন্য।
এই তো গেল মাসেই সাফে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। সেই অর্থে এটা প্রতিশোধের মিশন ছিল। সেটা কিনা কি দারুণ ভাবেই নিল লাল-সবুজ বাহিনী।