1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

স্তন ক্যানসার হতে পারে পুরুষদেরও

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ২০৬ বার পঠিত

স্বাস্থ্য ডেস্ক: নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। ক্লিনিক্যাল তথ্য বলছে, পুরুষদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ১ শতাংশেরও কম। আরও ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলেতে গেলে হিসাবটা দাঁড়াবে খানিকটা এই রকম- প্রায় ২৬৫০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে, আর তার মধ্যে থেকে প্রায় ৫৩০ জন স্তন ক্যানসারে মারা যেতে পারে। ফলে এই হিসেবটা থেকে স্পষ্ট যে, পুরুষদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এর সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষদেরই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করাতে হবে। তাতে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যাবে।

পুরুষদের স্তন ক্যানসারের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। চিকিৎসকেরা বলেন যে, যখন পুরুষদের স্তনের কিছু কোষ অন্যান্য সুস্থ কোষের তুলনায় দ্রুত বিভাজিত হতে থাকে, তখনই বুঝতে পারা যায় যে, সেটা স্তন ক্যানসার। এ বার কোষ বিভাজিত হতে হতে একসঙ্গে জমা হয়ে টিউমার সৃষ্টি করে এবং যা ক্রমশ আশপাশের কলাকোষে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শুধু কলাকোষেই নয়, এই টিউমার লিম্ফ নোড এবং দেহের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রতিটা মানুষই যখন জন্মায়, তখন তাদের স্তনে খুবই স্বল্প পরিমাণ কলাকোষ থাকে। দুগ্ধ উৎপাদনকারী গ্ল্যান্ড বা লোবিউলস এবং স্তনবৃন্তে দুগ্ধ বহনকারী নালির মাধ্যমেই স্তনের কলাকোষ গঠিত হয়েছে। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তনের কলাকোষ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে, কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। আর যে হেতু, পুরুষরাও স্বল্প পরিমাণ স্তন কলাকোষ নিয়ে জন্মায়, তাই তাদেরও স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে নানান রকম উপসর্গ দেখা যায়। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির কয়েকটি উপসর্গের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

 

যে কোনও একটা স্তনে কোনও স্ফীত অংশ, যেখানে ব্যথা থাকবে না

 

স্তনবৃন্তের সঙ্কোচন, অথবা স্তনবৃন্তে আলসারের মতো হয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে ডিসচার্জ বেরোনো

 

স্তন কুঁচকে যাওয়া

 

স্তন অথবা স্তনবৃন্তের চামড়া বিবর্ণ হয়ে যাওয়া

 

যদিও উপরোক্ত উপসর্গগুলো পুরুষদের স্তন ক্যানসারের প্রথম দিকের উপসর্গ। এ ছাড়াও আরও অনেক উপসর্গ আছে, যা থেকে সহজেই বোঝা যাবে যে, ক্যানসার ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। আর সেই উপসর্গগুলো হল:

 

লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া

 

স্তনের ব্যথা

 

হাড়ের ব্যথা

 

এই উপসর্গগুলো দেখলেই বোঝা যাবে যে, বিষয়টা গুরুতর হয়ে উঠছে।

 

পুরুষদের মধ্যে সাধারণত তিন ধরনের স্তন ক্যানসার দেখা যায়। সেগুলি হল:

 

ইনভেসিভ ডাক্টাল কার্সিনোমা

এই ধরনের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগটা শুরু হয় ডাক্ট বা নালির মধ্যে থেকে। তার পর ধীরে ধীরে তা নালির বাইরের দিকে স্তনের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

 

ইনভেসিভ লোবিউলার কার্সিনোমা

ক্যানসার কোষ তৈরি হতে থাকে লোবিউলসে এবং তার পর সেটা ছড়িয়ে পড়ে স্তনের বিভিন্ন কলাকোষে।

ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু

এর থেকে ইনভেসিভ স্তন ক্যানসার হতে পারে। কারণ এটা স্তনের বিভিন্ন নালির উপর আস্তরণ হিসেবে থাকে, আর স্তনের অন্যান্য কলাকোষে ছড়ায় না।

পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে ম্যামোগ্রাম, আল্ট্রাসাউন্ড, নিপল ডিসচার্জ পরীক্ষা এবং বায়োপ্সির মাধ্যমে স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়াও সকলেরই প্রতিদিন নিজেদের স্তন পরীক্ষা করতে হবে। তাতে রোগ নির্ণয়ে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।

পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে কি জিনের কোনও ভূমিকা থাকে?

স্তন ক্যানসারকে জেনেটিক মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। যাদের পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে, সেই পরিবারের পুরুষদেরও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। যে সব পুরুষদের শরীরে বিআরসিএ১ এবং বিআরসিএ২ জিন বংশপরম্পরায় থাকে, তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি সাধারণত বেশি হয়। তবে পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জেনেটিক মিউটেশনই দায়ী, এমনটা নয়। আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যার উপর স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা নির্ভর করে।

স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে টিউমারের আকারের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, হরমোন থেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত স্তনের কলাকোষ বাদ দেওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার বা সার্জারি করা হয়ে থাকে। স্তন ক্যানসার যদি শুরুর দিকে বা প্রথম ধাপেই ধরা পড়ে যায়, তা হলে পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..