সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি নারী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের বিয়ের খবরটি বিশ্বব্যাপী নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তার বিয়ের পরপরই বিশ্ব গণমাধ্যমে তার একটি সাক্ষাৎকার পুনরায় ভাইরাল হয়।
সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে মালালা বলেছিলেন, আমি বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলাম না। বিয়ে নিয়ে আমার উদ্বেগ ছিল। বিশ্বের অনেক নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য- যারা বাল্যবিয়ে, জোরপূর্বক বিয়ে, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং কীভাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি সমঝোতা করতে হয়- তা দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাগ্যবান। কারণ আমি এমন একজনকে পেয়েছি যে আমার মূল্যবোধ বোঝেন। আমার রসিকতাবোধ বোঝেন এবং আমাদের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।
২৪ বছর বয়সী মালালার স্বামী আসের মালিক ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরমেন্স জেনারেল ম্যানেজার।
গত জুলাই মাসে ভোগ ম্যাগাজিনের দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালালা ইউসুফজাই বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে কখনো বিয়ে করব কি না।’
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখনো বুঝতে পারছি না যে কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে’।॥
তিনি আরও বলেছিলেন,‘আপনি যদি আপনার জীবনকে কারাগার বানাতে চান, তাহলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে সই করতে হবে। কেন এটি একটি কেবল অংশীদারত্ব হতে পারে না?’
১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম।
নারী শিক্ষাবিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন। তখন তার বয়স মাত্র ১১। নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তিনি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পান।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মালালা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।