শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক :: ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী একজন ধার্মিক মানুষ। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি মদ্যপান সমর্থন করেন না। সেই বিশ্বাস থেকেই আইপিএলে তার দল চেন্নাই সুপার কিংসকে (সিএসকে) নিজের জার্সি থেকে মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার লোগো সরিয়ে নিতে বলেছিলেন। তার অনুরোধ রাখাও হয়েছে। ফলে মঈন এখন মদের লোগো ছাড়া জার্সি পরতে পারবেন।
সূত্রে জানা জায় ,নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে মঈন আলী কোনো মদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে প্রমোট করেন না। এর আগে কোহলির দল ব্যাঙ্গালুরুর জার্সি হোক, বা ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের জার্সি- সব ক্ষেত্রেই মঈন এই রীতি মেনে চলেছেন। চেন্নাইর নতুন জার্সিতে SNJ 10000 এর লোগো আছে। যা চেন্নাইয়ের পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘এসএনজে’র একটি শাখা। মঈনের অনুরোধ রেখেই সিএসকে তার জার্সি থেকে সংশ্লিষ্ট লোগো সরিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু মঈনের জার্সি থেকে এই লোগো সরিয়ে ফেলা নিয়ে এক বিতর্কিত টুইট করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘মঈন আলী ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে সিরিয়ায় গিয়ে আইসিসে (জঙ্গি সংগঠন) যোগ দিতেন। ‘
সে টুইটটা রিটুইট করে মঈনের সতীর্থ জফরা আর্চার রীতিমতো তসলিমার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে বসেছেন। লিখেছেন, ‘আপনি ঠিক আছেন? আমার তো মনে হচ্ছে না আপনি ঠিক আছেন!’
মঈনের আরেক সতীর্থ বেন ডাকেট তো আরেক কাঠি সরেস। তিনি তার টুইটার অনুসারীদেরকে তসলিমার সে টুইটার অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট করার আহবানও জানালেন। বললেন, ‘এই অ্যাপের এটাই সমস্যা। মানুষজন এসব কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। জঘন্য। এতে পরিবর্তন দরকার। দয়া করে এই অ্যাকাউন্টটাকে রিপোর্ট করুন।’ সুর মিলিয়েছেন স্যাম বিলিংস, সাকিব মাহমুদরাও। বিলিংস ডাকেটের মতোই রিপোর্ট করার আহবান জানিয়েছেন অনুসারীদের। সাকিব আঙুল তুলেছেন ব্যক্তি তসলিমা নাসরিনের ওপরও। তিনি লিখেছেন, ‘জঘন্য টুইট, জঘন্য ব্যক্তিত্ব’
সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকায় মঈন নিজের জার্সি থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের লোগো তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
এরপরই গত ৪ এপ্রিল তসলিমা নাসরিন টুইটারে লিখেছেন, ‘মঈন আলী ক্রিকেট না খেললে সিরিয়াতে গিয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ দিত।’
এমন টুইটের পর ঝড় ওঠাই স্বাভাবিক। ৮৩২বার রি–টুইট হয়, ২ হাজারের বেশি মন্তব্য পান তসলিমা নাসরিন। বেশির ভাগই নেতিবাচক।