শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: বাছাইয়ের শেষে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ৪০ জনকে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই চাকরি পেতে তাদের খরচ হয়েছে ১৩৩ টাকা মাত্র। গত ১৪ নভেম্বর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনসে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুলিশ সুপার জানান, মৌলভীবাজারে ৩৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীসহ মোট ৪০ জনকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শারীরিক যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে অত্যান্ত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর শারীরিক বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের। এতে ১৫৬৮ জন অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে ১৩২৮ জন পুরুষ ও ২৪০ জন নারী।
তিন দিনব্যাপী শারীরিক বাছাই প্রক্রিয়া শেষে তাদের মধ্য থেকে ৯৮ জনকে বাছাই করা হয়। গতকাল বুধবার তাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ৪০ জন ছাড়াও আরও কয়েকজনকে ওয়েটিং-এ রাখা হয়েছে। কোনও কারণে যদি নিয়োগপ্রাপ্তদের কেউ যোগদান না করেন, তাহলে তাঁরা নিয়োগ পাবেন। এই পুলিশ নিয়োগ পেতে চাকরিপ্রার্থীদের খরচ হয়েছে ১৩৩ টাকা করে। আবেদন ফরম তিন টাকা, ব্যাংক ড্রাফট ১০০ টাকা ও অনলাইন চার্জ ৩০ টাকা মোট ১৩৩ টাকা। বলেছিলেন, যারা নিয়োগ পেতে চান সেসব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলকে এবং সকল সচেতন নাগরিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে; তারা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে, পুলিশ কনস্টেলল নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও শতভাগ নিরপেক্ষতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। কোনও ধরনের দালাল, আবেদন-তদবিরের মাধ্যমে তাদের কেউ নিয়োগ পাবেন না। তিনি আরও বলেন, সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, আপনারা কারো সাথে কোন প্রকার অনৈতিক যোগাযোগ করবেন না। এটি যদি কেউ করেন এবং এটি যদি নিয়োগ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মৌলভীবাজার ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রমে প্রতারক তৈয়কুল ইসলাম গ্রেফতার। গত মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল রাতে তাকে গ্রেফতার করে। এব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ও আন্তরিকতায় সম্পূর্ন স্ব”ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হয়। ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল প্রার্থী লায়লা বেগম নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ উত্তির্ণ হওয়ার পর সদর থানার ফরেষ্ট অফিস রোডের আমিরুল ইসলামের ছেলে তৈয়কুল ইসলাম মোবাইল ফোনে পুলিশে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবী করে। প্রাথমিক ভাবে ১ লাখ টাকা অগ্রীম ও চাকুরী পাবার পর বাকী ৪ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে। বিষয়টি লায়লা বেগমের মামা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের সন্দেহ হলে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো: বদিউজ্জামানকে অবগত করেন। পুলিশ সুপার এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা সুকৌশলে অভিযান পচিালনা করে তাকে গ্রেফতার করেন।