বিশেষ প্রতিবেদক: : রাজনগর উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচিত সমালোচিত ৭ নং কামারচাক ইউনিয়ন। সাবেক শিবির নেতা চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম‘র এই ইউনিয়নে বর্তমানে নৌকা প্রতিক নিয়ে একছত্র অধিপত্যে দাবীদার নানা ভাবে বির্তকিত। তার উপর রয়েছে সু-নির্দিষ্ট একাধিক অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তিনি ১৯৯৯ সালে ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজনগর থানা শাখার প্রকাশনা সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি‘র সাবেক এমপি এম.নাসের রহমান এর সাথে ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। একসাথে পালন করেছেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ। দল বদল করার জন্য এলাকায় তার আলাদা একটি পরিচিতি রয়েছে। যে সরকার ক্ষমতায় আসে সে সরকারের রাজনৈতিক কর্মী সাজতে তার জুরি নেই। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে নেতা হিসাবেও তিনি পরিচিত। কুমিল­ার জেলার একটি মন্দিরে দুর্গাপূজা চলাকালীন কুরআন অবমাননার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিগত ১৪/১০/২০২১ইং চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম এর নেতৃত্বি তারাপাশা বাজারে মিছিল বের করেন। পরবর্তীতে একইস্থানে তার ইন্ধনে ছাত্রসেনার উদ্যাগে ৪শতাধিক লোক নিয়ে পুনরায় মিছিল বের করে তারাপাশা বিষ্ণুপদ ধাম মন্দিরের নাম ফলকভাংচুর এবং ভিতরের সাইন বোর্ড ভেংঙ্গে ফেলেন। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ভক্তবৃন্দদের মারধোর করেন। এ সময় রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সার্বিক বিষয়টি জেলা বিশেষ শাখার এক গোপন প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ১১ ফ্রেব্রয়ারী রাজনগর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সরকারী দপ্তরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মূল্যবান জিনিষ পত্র ভাংচুর ও গুলিবর্ষন করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। এসময় নাজমুল হক সেলিম রামদা হাতে নিয়ে ঘটনা স্থলে অবস্থান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় রাজনগর থানায় নাজমুল হক সেলিমসহ ২৫ জনের নাম উলে­খ করে অজ্ঞাত নামা ২০০/২৫০ জনকে আসামী দিয়ে (মামলা নং-০৪ ,তারিখ ১৩/০২/২০২১) দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী তানিম খান। সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের দায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাপ্তরিক( স্বারক নং-১২(৭), তারিখ ১১/০২/২০২১ইং আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরন করেন। নাজমুল হক সেলিমের এই সমস্ত বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বির্তকের ঝড় উঠেছে।