বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা বা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন দেশগুলো থেকে আসলেও ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে যাত্রার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড পরীক্ষার সনদ থাকতে হয়। আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ ছাড়া অন্য সব দেশের ক্ষেত্রে ওই ৭২ ঘণ্টার নিয়মই প্রযোজ্য হবে।একই সঙ্গে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ যদি আসে, তাদেরকে অবশ্যই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। আমরা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
“সেসব দেশ আসা প্রবাসীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করতে হবে। টেস্টে যদি করোনা নেগেটিভ না হয় তাহলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যদি দেখি কোনও দেশ সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে।” বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজই বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যাবে। পাশাপাশি এ কাজে যেসব মন্ত্রণালয় জড়িত তাদেরও চিঠি পাঠানো হচ্ছে।বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের সেসব হোটেল ঠিক করা হয়েছিল সেগুলোতে লোকজন কম আসায় সেগুলো আগের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেসব হোটেল আবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। “আমরা আবারও তালিকা অনুযায়ী সেসব হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।”
তবে সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গে এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না আসতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত কারও মাধ্যমে বাংলাদেশে যেন ওমিক্রন আসতে না পারে সে চেষ্টা সরকার করছে।“বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করেন। কারণ একসঙ্গে যদি আফ্রিকা থেকেই ২০-৩০ হাজার লোক দেশে চলে আসেন, তাহলে কিন্তু সবাইকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এত সক্ষমতা আমাদের নাই। সব হোটেল নিলেও ১০-১৫ হাজারের বেশি লোক জায়গা দেওয়া যাবে না। বিদেশ এসে অনেকে পরিচয় গোপন করছে। গত এক মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। “আমরা বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করতে চাচ্ছি—তিনি অসুস্থ কিনা দেখতে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সে কার কার সঙ্গে মিশছে, তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা। আমরা তো কাউকে জেলে ঢুকিয়ে দেব না। আমরা তার ও পরিবারের মঙ্গলের জন্যই খুঁজছি।”