শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের সাথে সাধারণ নাগরিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সিলেটের রায়হান হত্যার মতো ঘটনায় সাধারণ জনগণ এগিয়ে আসায় আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ জনগণ প্রধান আসামীকে আটক করে পুলিশে দেয়। যার কারণে অন্যান্য আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করে। তাই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদের সাথে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর ২০২১) দুপুরে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার আয়োজিত সিলেট প্রেসক্লাবের সামনে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার আয়োজিত র্যালী, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সিলেটের কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা অংশ নেন নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হানের মাতা সালমা বেগম ও তেমুখীতে পুলিশী নির্যাতনে আহত ছাত্রদল নেতা বদরুল আলম। অধিকারের বিবৃতি পাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী মো. তারেক আহমদ। সিলেট প্রেসক্লাবের সামন থেকে র্যালী বের করে সুবিদবাজার পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে সমাবেশের বক্তব্যে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলে রায়হানকে পুলিশ অমানুসিক নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও আমরা সুবিচার পাচ্ছি না। উপরন্তু আসামী পক্ষের লোক মামলাটি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিছুদিন আগে এক সাক্ষীকে নিয়ে নানা কথা উঠছে। আমি সরকারের কাছে রায়হান হত্যার সুবিচার দাবি করছি। পুলিশী নির্যাতনে আহত বদরুল আলম বলেন, আমাকে পুলিশ ছাত্রদলের মিছিল থেকে যাওয়ার পথে তেমুখীতে ধরে গুলি করে গুরুতর আহত করে। আমি এখনও পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন ধারণ করছি। আমি এখন অসহায় হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছি না। আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে আমি খুব কষ্টে জীবন কাটাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি প্রতিনিয়তি কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়।
অধিকার বিবৃতিতে বলা হয়, গুম, বিচারবর্হিভূত হত্যা কান্ড ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলছে। এ ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা দায়মুক্তি ভোগ করছে। সংবাদ মাধ্যমের উপর চাপ সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহŸান জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী দেলোয়ার হোসেন জিলন, আমিন তাহমিদ, মো. কামাল হোসেন, সাংবাদিক আহমেদ শাহীন, আয়েশা আক্তার, মো. সালমান আহমদ, দেলোয়ার হোসাইন, মো. আখলাকুর রহমান, মো. হাবিব উল্লাহ চৌধুরী, রাসেল আহমদ, রিসমন আহমদ, সমুজ আল ফাহিম প্রমুখ।