মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি,হাইল ও কাউয়াদীঘি হাওরসহ বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। সেই সাথে নদী তীরবর্তী এলাকারও আগাম জাতের বোরো ধান শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজ। কৃষকরা বন্যা ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢল আশংকায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় এখন ব্যস্ত বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে। বোরো চাষিরা জানান এ বছর বোরো ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে।
তবে পুরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বৃষ্টি ও বন্যার ভয় রয়েছে তাদের। দেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকিতে গেল সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এদিকে কাউয়াদীঘি হাওর এলাকায় বোরো ধান কাটার ইতিমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর হাওরগুলোতে ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
গতকাল দুপুরে রাজনগর উপজেলার সুনাটিকি গ্রামে ধান কাটার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কাজী লুৎফুল বারী ও রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা যাতে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারেন তার জন্য প্রশাসন পাশে থাকবে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পায় তার জন্য সঠিক তদারকি করা হবে। জেলার হাইলহাওর,কাওয়াদীঘি ও হাকালুকি হাওরে বোরো আবাদ নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর। ভারি বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢল নেমে প্রথমেই বোরো ধান তলিয়ে যায়।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, জেলার বেশির ভাগ এলাকায় ফসল ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টি-বন্যা জয় করে এই ফসল ঘরে তুলতে পারলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায় জেলায় এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর। এতে ২ লাখ ১৭ হাজার টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।