1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৫৩ বার পঠিত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য পাকিস্তান আমল ও ১৯৮০ দশকে তৈরী করা ৪টি আবাসিক ভবন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২টি ভবন বেশি ঝুকিপ‚র্ণ থাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মৃদু ভ‚মিকম্পে কেঁপে ওঠে ভবনগুলো। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এইসব ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বসবাস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার। আবাসন ভবন ঝুকিপূর্ণ থাকায় অনেক কর্মকর্তারা পরিবার নিয়ে বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন। আবার অনেক কর্মকর্তারা আবাসন ভবন বসবাসের অযোগ্য থাকায় পরিবার গ্রামের বাড়িতে রেখে ব্যাচেলার ম্যাচে থাকেন। এসব ভবনগুলো অপসারণ করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সচেতন মহলের আশংকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ভবনটি বেশ ঝুঁকিপ‚র্ণ অবস্থায় আছে। কোয়াটারের উপরে একসাথে দুই-তিনজন হাঁটাচলা করলে সারা ভবন কেঁপে ওঠে। উপজেলা পরিষদের ভিতরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে একাধিক আবসিক ভবন। দেয়ালের মাঝে একাধিক ফাটল রয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে ভিতরে পানি পড়ে। কোয়াটারগুলোর ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়েছে। দরজা, জানালা সমুহ ভেঙ্গে গেছে। ভবনগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে। বনবিথি, গেজেটেড কোয়াটার, কৃষ্ণকলী, কনকচাঁপা, কামিনী, ক্যামেলিয়া কোয়াটারগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুকিপ‚র্ণ। এছাড়াও জরাজীর্ণ ভবনগুলোর পাশে ময়লা আবর্জনা স্ত‚প জমে উঠেছে। অধিক ঝুঁকিপ‚র্ণ হওয়ার পরও পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী বসবাস করছেন এসব ভবনে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বনবিথি, গেজেটেড কোয়াটার, কৃষ্ণকলী, কনকচাঁপা, কামিনী, ক্যামেলিয়া কোয়াটারসহ ৫টি ভবন নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা এলজিডি অফিসের অফিস সহায়ক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ফ্লাড সেন্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আমাদের কোয়াটারে গ্যাস ও পানি নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে কোয়াটার দিলে আমরা ভাড়া করে থাকবো। জরাজীর্ণ ঘরে সারাক্ষণ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি।
গেজেটেড কোয়ার্টারের বাসিন্দা উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাকিব ও উপজেলা বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা (পজিপ) মোর্শেদা খানাম বলেন, বৃষ্টি দিলে ছাদ থেকে পানি পড়ে, দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দিয়েছে। ভিতরের অবস্থা এতটাই করুণ যা বলার ভাষা রাখেনা।
পুরাতন কোয়াটারের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোয়াটার সবচেয়ে ঝুঁকি প‚র্ণ থাকায় আপাতত এটি নতুন করে করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে টেন্ডারের মাধ্যমে ভেঙ্গে নতুন করে করতে হবে। এগুলো মেরামত করলে হবেনা। আমি থাকা অবস্থায় ভবনগুলো করে যাবো বলে আশা করছি। আমার বাসভবনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল, বর্তমানে এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপ‚র্ণ।
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের বড় ধরনের কাজগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বোচ্চ সাত লক্ষ টাকার কাজ করাতে পারি। এছাড়াও সরকার থেকে কিছু ভবন পরিত্যক্ত করা হয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..