1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে নৌকা প্রার্থীদের ভরা ডুবির শঙ্কা: বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চাঙ্গা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১২৫৬ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভারে মৌলভীবাজারে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর চেয়ে বেশিরভাগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনপ্রিয়তা, অভিজ্ঞতা ও বিত্তবান হওয়ায় এই অবস্থা তৈরী হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মনোনয়ন বঞ্চিত অনেকেই নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রকাশ্যে থাকলেও গোপনে বিরোধিতা করছেন বলে জানা গেছে। ভোটাররা জানান, জেলা কমিটির অনেকেই গোপনে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন। কেন ভোট চাইছেন নৌকার বিপক্ষে এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দিতে মৌলভীবাজারে প্রার্থীদের নাম চাওয়া হয়। সেসময় তালিকায় যাদের নাম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হয় তাদের অনেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে জেলা কমিটির কেউ কেউ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বা মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের অনেকেই যোগ্য বলে মনে করছেন না তারা। তাই বিদ্রোহীদের বিজয়ী করতে গোপন মিশনে নেমেছেন।

সরজমিনে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠের সাথে আপলাপকালে এসব বিষয় নৌকার অধিকাংশ প্রার্থীরা জানলেও ভোট হারানোর ভয়ে এখন মুখ খুলছেন না। অনেক প্রার্থীই জানান, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কারা কাজ করেছে তা জনসমক্ষে জানাবেন। অন্যদিকে ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে দুই একটি ছাড়া বাকী গুলোতে সঠিক ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়াই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন ভোটাররা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে গ্রাম এলাকাগুলো নির্বাচনী আমেজে ভরপুর হয়ে ওঠে। গ্রামাঞ্চলের বাজার থেকে শুরু করে চা এর টেবিল, প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয় ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এদৃশ্য গভীর রাত পর্যন্ত দেখা যায়।

তবে সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থীরা অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে মাঠে সরব দেখা গিয়েছে। ১২টি ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় যাচ্ছেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এখন পর্যন্ত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় মাঠে সরব রয়েছেন, মৌলভীবাজার সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মসুদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন, জেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। তবে প্রচার প্রচারণায় বাধ্যবাধকতা থাকায় মৌলভীবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ সঙ্গত কারণেই অংশ নেননি। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পক্ষে এখন পর্যন্ত মাঠে সরব ভূমিকা পালন করছেন জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন। প্রতিদিন কোন না কোন ইউনিয়নে তিনি প্রচারণায় যোগ দিচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন আরো তরান্বিত করতে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহবান জানাচ্ছেন তিনি। নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করলে এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সব উন্নয়ন কাজে তিনি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে অংশ নেবেন এমন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও উনার বক্তব্যে উজ্জীবিত হচ্ছে।

নির্বাচনী মাঠে এখনও নেই কেন এবং জেলা কমিটির কেউ কেউ গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেন জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুর রহমান। তিনি জানান, নির্বাচন এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি, তবে আমি পর্যবেক্ষণ করছি। বর্তমানে পৌরসভার পক্ষ থেকে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন নিয়ে কাজ করছি। বিজয় দিবসের পর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার প্রচারণা কাজ শুরু করবো। ইনশাল­াহ নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত করেই তবে ঘরে ফিরবো। জেলা আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র নৌকা মার্কার প্রার্থীকে সমর্থন করে কাজ করে উলে­খ করে বলেন, বিদ্রোহীদের পক্ষে কেউ কাজ করলেও সেটা আমার জানা নেই।

এদিকে ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে মোস্তফাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ, কনকপুর ইউনিয়নে রেজাউর রহমান চৌধুরী, আমতৈল ইউনিয়নে শাহীন খান, কামালপুর ইউনিয়নে মো. ফয়ছল আহমদ, একাটুনা ইউনিয়নে আবু সুফিয়ান এসব প্রার্থীরা পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এদিকে ভোটার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী, স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়লাভ করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নির্বাচনী মাঠে ভোটের পরিবেশ, পরিসংখ্যান ও ভোটারদের অবস্থান সময়ে সময়ে বদল হয়। তাই কে জিতবে কে হারবে তা নিশ্চিত হতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..