মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
নওগাঁর মান্দায় প্রেমের অভিযোগ তুলে নির্যাতনের অপমানে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন। মৃত স্কুলছাত্রী বেবী আক্তার (১৫) মান্দা সদর ইউনিয়নের খাগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দিন শাহের মেয়ে। সে মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মৃতের চাচা সাইফুল ইসলাম জানান, বেবী আক্তারকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের মেয়ে রীমা বেগম কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়াপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে সুইটি বেগম, তার মা আনজুয়ারা বিবি, রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা কুসুম্বা দীঘিরপাড়া গ্রামের চয়নুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে বেবীর প্রেম চলছে এমন অভিযোগ তুলে একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে।
বেবী আক্তারের বাবা সলিম উদ্দিন শেখ বলেন, ‘প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের বাড়ি থেকে ছাড়া পেয়ে মেয়ে বেবী বাড়িতে ফিরে ঘটনার কথা প্রকাশ করে। এনিয়ে উভয় পরিবারের নারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য ছিল না। বাড়িতে ফিরে তারা ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে মেয়েকে শান্তনা দেন। তিনি আরো বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতনের অপমান সইতে না পেয়ে সকলের অগোচরে মেয়ে বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে মান্দা হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে মারা যায় বেবী।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী বেবীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।