শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: কুর্দিশ এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। দেশটিতে সচরাচর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা যায় না।
তবে রবিবার ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের কামইয়ারানে বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিয়েছেন। ইরানের রেভুলিউশনারি গার্ড কোরের তিন সদস্যকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেয়দার ঘোরবানি নামে যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাকে শহীদ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
হেয়দার ঘোরবানি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয় বলে দবি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাকে রাজনৈতিক বন্দি বলে মনে করছিল।
এ ছাড়া ইরানের কুর্দিশদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা সশস্ত্র গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
রবিবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সানানদাজ কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ইরানের সুপ্রিম কোর্ট এ বছর যখন হেয়দার ঘোরবানির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে আদেশ দেয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন ওই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি যেসব প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের সময় তাকে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
হেয়দার ঘোরবানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে ও দণ্ডের রায় বাতিল করতে সেপ্টেম্বরে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘ। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
গত কয়েক বছরে ইরানের চেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কেবল চীন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে ২০২০ সালে ইরানে ২৪৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সংস্থাটির অভিযোগ, ভিন্নমতাবলম্বী, বিক্ষোভকারী এবং জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের রাজনৈতিকভাবে দমনের হাতিয়ার হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানকে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করছে ইরান।