মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর থানার এক গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতনের পর মাথার চুল শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ ডিসেম্বর (রবিবার) বাউরবাগ গ্রামে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিত গৃহবধূ মৌলভীবাজার ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ব্যপারে নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা মৌলভীবাজার জেলা শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে ও নির্যাতিত গৃহবধূর নিকট থেকে জানা যায়, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী সৌদী আরব প্রবাসী। সে কারনে নির্যাতিত গৃহবধূ নিরাপত্তার জন্য বেশী ভাগ সময় পিতার বাড়িতে থাকতে হয়। মাঝে মধ্যে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় বাড়িতে আসেন। তার স্বামী বাড়িতে এস ছুটি কাটিয়ে যাওয়ার পর গৃহবধূ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর দিনের বেলা শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে জমি বিক্রির টাকার বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ঔই দিন রাত আনুমানিক ২টায় স্বামীর বড় বোন রিনা বেগম(৫০), রিনা বেগমের স্বামী দুধ মিয়া(৫৫), ছেলে জুবেল মিয়া(৩০), মেয়ে রিমা বেগম(২৫) ও অন্য একজন আব্দুস শহিদ(২৫)মিলে রাতে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে প্রানে হত্যার চেষ্টা করে মারধোর মাথার চুল কেটে ফেলে। গৃহবধু প্রান রক্ষার্থে জানালা দিয়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে আসে। নির্যাতিত গৃহবধূ বেহুশ থাকার কারনে তার শ্বশুর বাড়ির লোক জনকে খবর দিয়ে তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ নয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ কেহ তার খোঁজ নেয়নি।