1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জুড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও হত্যার হুমকির অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭০১ বার পঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জুড়ী উপজেলার বড়ধামাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানের দুই ভাতিজাকে দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারের যোগসাজসে এলাকার চিহ্নিত রাজাকারের উত্তরসুরীরা একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী, হাজতবাস ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে রোববার ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান ১৯৭১ সালের চিহ্নিত রাজাকার চাঁদ উদ্দিনের ভাতিজা জামায়াত নেতা জামিল আহমদ, জসিম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগি সায়েফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানের ভাতিজা ইসলাম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে গরুর ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে বিরোধ চলছিল পূর্ব বড়ধামাই গ্রামের চিহ্নিত রাজাকার চাঁদ উদ্দিনের ভাতিজা জামিল মুল্লা, জসিম উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনের। জামিল মুল্লা নয়াবাজার হোসন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হন। গত ১৪ আগষ্ট রাতে হোসন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২৬ আগষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীরেশ রুদ্র পাল দুই জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেন। জামিল মুল্লা মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে পাশ কাটিয়ে থানার এসআই মনিরকে ঘুস দিয়ে স্কুলের ওই চুরির মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে ইসলাম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। ১৭ দিন হাজত বাসের পর নিরীহ দুই ভাই কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরবর্তীতে এ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে উক্ত ঘটনায় ইসলাম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিনের কোনো সম্পৃক্ততা না পেয়ে চার্জশীট থেকে তাদের নাম কেটে ফেলেন। এ মামলায় ইসলাম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিনকে ফাঁসাতে না পেরে সচতুর জামিল মুল্লা, জসিম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, সায়েফ উদ্দিন থানার এসআই মনিরকে বিরাট অঙ্কের ঘুস দিয়ে সম্প্রতি একটি গরু চুরির মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে সাহাব উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে সাহাব উদ্দিন হাজতবাস করছেন। তাকে দ্বিতীয় দফায় কারাগারে পাঠিয়ে জামিল মুল্লা গংরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানের ভাতিজা ইসলাম উদ্দিন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ আতংকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জামিল মুল্লা নয়াবাজার হোসন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের নগদ টাকা, ল্যাপটপসহ আন্যান্য জিনিসপত্র চুরির সাথে জড়িত। চোরদের বাঁচাতে সে নিরীহ লোকদের নামে মামলা দেওয়ায়। যার ফলে তদন্তে প্রত্যেক আসামী অব্যাহতি পায়। বিভিন্ন এলাকার গরু চোরদেরও হোতা জামিল মুল্লা, জসিম ও হেলাল। তারা গরু চোরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা। প্রায় দেড় মাস আগে পুলিশ হেলালের বাড়ি থেকে চোরাই গরু উদ্ধার করেছে। চিহ্নিত গরু চোরদের রক্ষা করতে সে নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়।

অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটুক্তি করতেও দ্বিধাবোধ করেনি চাঁদ উদ্দিন রাজাকারের ভাতিজা জামিল, জসিম ও হেলাল। জামিল মুল্লা ছাত্র জীবনে পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিল। ২০০৮ সালে তার বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য পরীক্ষা করতে গিয়ে সে আহত হয়। তার কোমরের নিচে এখনো সেই ক্ষত বিদ্যমান। তদাপিও জামিল গংরা পুলিশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানের ভাতিজা সম্প্রতি জামিল মুল্লার প্ররোচনায় গ্রেফতার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাবরণ শেষে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইসলাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, জুড়ী থানার এসআই মনির বড় অঙ্কের ঘুসের বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুই ভাইকে হয়রানী করছেন। অকারণে আমাদের আটক করেন। প্রায় দেড়মাস আগে কুলাউড়া থেকে জুড়ী আসার পথে জুড়ী নিউ মার্কেটের সামনে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আমার ভাই সাহাব উদ্দিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাতকড়া পরিয়ে দেন। পরে তিনি ৩ হাজার টাকা নিয়ে আমার ভাইকে ছাড়েন। প্রায়ই তিনি গ্রেফতারের হুমকি ধমকি দেন। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আমরা জামিল মুল্লার বিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিলাম। এই আক্রোশে সে আমাদের উচিত শিক্ষা দিবে বলে হুমকি দেয়। নির্বাচনের পরদিনই এসআই মনিরকে দিয়ে ফুলতলা ইউনিয়নের একটি গরু চুরির মামলায় সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। জামিল মুল্লা ও মনির দারোগার ভয়ে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারছি না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..