1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কে কয়েক মাস টিকতে পারে করোনা : গবেষণা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩০৬ বার পঠিত

 অনলাইন ডেস্ক: কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসনালি থেকে হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক এবং শরীরের প্রায় প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে করোনাভাইরাস কয়েক দিনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি এই ভাইরাস কয়েক মাস ধরে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে টিকে থাকতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

শরীর এবং মস্তিষ্কে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া এবং অবস্থানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ‘এনআইএইচ’র গবেষকরা বলেছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন যে, সংক্রামক এই ভাইরাস শ্বাসনালীর বাইরেও মানবদেহের অন্যান্য কোষেও প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে। শনিবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারে প্রকাশের জন্য অনলাইনে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দীর্ঘকালীন করোনা রোগীদের শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো থেকে যাওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ভাইরাল ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা দায়ী বলে মন্তব্য করা হয়েছে।ভাইরাল লোডের পর শরীরের প্রতিক্রিয়া এবং যে প্রক্রিয়ায় এই ভাইরাস শরীরে দীর্ঘসময় ধরে টিকে থাকে সেটি বোঝার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। লং কোভিড নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্স সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিক্যাল মহামারি কেন্দ্রের পরিচালক জিয়াদ আল-আলিমার্কিন বলেছেন, লং কোভিড কেন শরীরের এত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রভাব ফেলছে সেটি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি।এই গবেষণা সেই আলোচনায় নতুন করে কিছুটা আলো ফেলছে। কেন লং কোভিডের কারণে মৃদু অথবা উপসর্গহীন রোগীরাও তীব্র অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন সেটি ব্যাখ্যা করার জন্য এই গবেষণা সহায়তা করতে পারে।করোনাভাইরাস শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের বাইরে মানব দেহের কোষেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে দীর্ঘদিন ধরে এমন দাবি করছেন অনেক গবেষক। তবে এই দাবির পক্ষে এবং বিপক্ষেও অনেক মত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের নতুন গবেষণাটি মহামারীর প্রথম বছরে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার পর মারা যাওয়া ৪৪ জন রোগীর ময়নাতদন্তের সময় নেওয়া টিস্যুর বিস্তৃত নমুনা এবং বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।এনআইএইচের কর্মকর্তা ডেনিয়েল চার্টো বলেছেন, শ্বাসনালির বাইরে করোনার সংক্রমণের ব্যাপারে বোঝাপড়ায় পৌঁছানো এবং সংক্রামিত টিস্যু থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি মুছে যেতে, বিশেষ করে মস্তিষ্ক থেকে মুছে যেতে কত সময় লাগে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কে এই ভাইরাসের উপস্থিতি কয়েক মাস ধরে থাকে। গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছিল তাদের উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর ২৩০ দিন পর্যন্ত মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গাসহ শরীরের একাধিক অংশজুড়ে সার্স-কোভ-২ আরএনএর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি ত্রুটিপূর্ণ ভাইরাস কণার উপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্লোবাল বায়োসিকিউরিটির অধ্যাপক রাইনা ম্যাকইনটায়ার বলেছেন, ‘আমরা লং কোভিডকে পুরোপুরি বুঝতে পারি নাই। তবে এসব পরিবর্তন লং কোভিডের চলমান উপসর্গের ব্যাখ্যা হতে পারে।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..