মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: শুরুর ধাক্কার পর নিউজিল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেন ডেভন কনওয়ে। বছরের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করেছেন প্রায় তিনটি সেশন। সেই সেঞ্চুরিয়ানকে ফেরালেন এমন একজন, যাকে বল হাতে দেখা যায় না প্রতি নিয়ত। খণ্ডকালীন বা পার্টটাইমার স্পিনার মুমিনুল হকের কল্যাণেই ভাঙা গেছে কনওয়ে-প্রতিরোধ। তার পরেও ছুটে চলেছে কিউইদের রান চাকা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৩ রান।
বছরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান কনওয়ের ফেরার জন্য দায়টা আসলে তারই। বামহাতি মুমিনুলের বলটা ছিল পুরোপুরি নির্বিষ। কিন্তু অলস ভঙ্গিতে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে লিটনের গ্লাভস বন্দি হয়েছেন তিনি। ২২৭ বল খেলা কনওয়ে ফিরেছেন ১২২ রানে। তাতে ছিল ১৪টি চার ও ১ টি ছয়।
কনওয়ে ফেরার আগে সাজঘরে ফিরেছেন রস টেলর। উইল ইয়াং ফেরার পর বিদায়ী সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন। তখন টেলর-কনওয়ে জুটি পোক্ত হওয়ার পথেই ছিল। যোগ করে ফেলেছিল ৫০ রান। কিন্তু শরিফুলের দুর্দান্ত এক বলে টেলরের ক্যাচ উঠলে কভারে সেটি লুফে নেন সাদমান। ক্রিজে আছেন হেনরি নিকোলস (২৬) ও টম ব্লান্ডেল (১)।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। টস জিতে মুমিনুল হকের বোলিং নেওয়ার যথার্থতা ফুটে উঠে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই। টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে আনন্দের মুহূর্ত এনে দেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম সেশনে ওই একটিই সাফল্য। দ্বিতীয় সেশনেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি ১ উইকেট। তাও সেটি এসেছে রান আউট থেকে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টে শুরুতে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। নতুন বছরে উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি। শরিফুলের হাত ধরে আসে প্রথম উইকেট। এই পেসারের বলে ২০২২ সালের প্রথম দিনে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে খেলতে নামা সফরকারীরা চতুর্থ ওভারেই উইকেট উদযাপন করেছে।
কেন উইলিয়ামসনের চোটে অধিনায়কের দায়িত্ব উঠেছে ল্যাথামের কাঁধে। তাই চাপটা হয়তো নিতে পারলেন না এই ওপেনার। শরিফুলের বলে শুরুতেই ঘায়েল হয়েছেন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে গেলে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দেখার মতো এক ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটকিপার লিটন। ফেরার আগে ল্যাথাম করেন মাত্র ১ রান।
স্বাগতিকদের চেপে ধরার ভালো সুযোগ তৈরি হয়ে যায় তাতে। তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেন-শরিফুলদের সামনে কঠিন পরীক্ষাতেও পড়েন কিউই দুই ব্যাটার কনওয়ে ও ইয়ং। মুখোমুখি ১৩তম বলে গিয়ে প্রথম রানের দেখা পান কনওয়ে। আর ইয়ং রানের খাতা খোলেন ২২তম বলে গিয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে এই ব্যাটার প্রথম রান পান ইনিংসের দশম ওভারে!
যদিও ওই কঠিন সময় কাটিয়ে কিউইদের শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায় কনওয়ে-ইয়ং জুটি। চলতে থাকে বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা। কিছুতেই ভাঙা যাচ্ছিল না তাদের জুটি। দ্বিতীয় সেশনে অবশেষে রান আউট আশীর্বাদ হয়ে আসে সফরকারীদের জন্য। দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন ইয়ং। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে লিটন বেল ফেলে দিয়ে ইয়ংয়ের আউটের সঙ্গে ভাঙে কনওয়ের সঙ্গে তার ১৩৮ রানের জুটি। ফেরার আগে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন এই ওপেনার। ১৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৫২ রান।