1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রমজান: সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৩৬ বার পঠিত
আফতাব চৌধুরী

‘রোজা’ ফার্সি শব্দ। যার আরবি প্রতিশব্দ ‘সওম’ বা ‘সিয়াম’। ‘সওম’-এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায়, এবাদতের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদেক বা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাসের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকর কাজ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা বা সওম। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস হিসাবে পরিচিত রমজান মাসে পুরো মাসব্যাপী এ রোজা পালিত হয়। এ মাসে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, রোগী, মুসাফির, পাগল, হায়েয-নেফাস সম্পন্ন মহিলা ও শরিয়তের পরিভাষায় অক্ষম ব্যতীত প্রত্যেক নর-নারীর রোজা পালন করা ফরজ। এ মর্মে কুরআন শরীফের বাণী-‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য যেন তোমরা খোদাভীতি অর্জন করতে পার। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তবে অন্য সময়ে এ সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর এটি যাদের জন্য অপারগ হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিন কে খাদ্য দান করবে। যে ব্যক্তি খুশির সঙ্গে সৎ কাজ করে তা তার জন্য কল্যাণকর।
যদি তোমরা তা বুঝতে পার। রমজান মাস হল সে মাস, যাতে অবতীর্ণ করা হয়েছে আল-কুরআন যা মানবজাতির জন্য জীবন বিধান এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ। আর হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাসটি পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে যেন অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না। যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ করতে পার এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর। (আল কুরআন, বাকারা, ১৮৩-১৮৫)
হযরত সলমান পারসি (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, শা’বান মাসের শেষদিনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিও সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বলেন-হে মানবজাতি! একটি মহান ও মোবারক মাস তোমাদের কাছাকাছি। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। আল্লাহ তোমাদের প্রতি এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন আর রাতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াকে অতিরিক্ত এবাদত বলে বর্ণনা করেছেন। এ মাসে যদি কেউ ভাল কাজ করে, তবে তা হবে অন্য মাসে ফরজ আদায় করার সমতুল্য। রমজান হচ্ছে ধৈর্য্যরে মাস আর ধৈর্য্যরে বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। রমজান হচ্ছে সহানুভূতির মাস। যে মাসে মুমিনের রিযেক বর্ধিত করে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে রোজাদারকে ইফতার করাবে, তা তার জন্য গুণাহ সমূহ থেকে এবং দোজখের আগুন থেকে উদ্ধারের মাধ্যম হবে। আর তাঁকে রোজাদারের সমান প্রতিদান দেয়া হবে। এতে রোজাদারের সওয়াব হ্রাস পাবে না।
যে ব্যক্তি তাঁর হালাল উপার্জন দিয়ে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার জন্য ফেরেশতারা রোজার রাতসমূহে দোয়া করতে থাকবে আর শবে কদরে জীবরাইল (আঃ) তার সঙ্গে মুসাফা করবেন। আর যার সঙ্গে মুসাফাহা করবেন তার আত্মা বিগলিত হয়ে যাবে, তার চোখে পানি আসবে। হযরত সলমান ফারসি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যার এমন সম্বল নেই, তার সম্বন্ধে আপনার মতামত কি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাকে এ সওয়াব দান করবেন, যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে একটি খেজুর অথবা পানীয় দ্বারা অথবা এক কাপ দুধ দ্বারা ইফতার করাবে। আর তা এমন মাস যার প্রথমে রহমত, মধ্যভাগে মাগফিরাত ও শেষে দোজখ থেকে জান্নাত রয়েছে। যে কেউ এ মাসে তার অধীনস্থদের কাজকর্ম লঘু করবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর তাকে দোজখের আগুন থেকে মুক্ত করবেন। (বায়হকীঃ শায়াবুল ঈমান)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন- রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি জিনিস দান করেছেন, যা এর আগে অন্য কোন নবীকে দান করা হয়নি।  যখন রমজান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, তাকে কখনো কষ্ট দিবেন না।  রোজা পালনকারীরা যখন শেষ বেলায় উপনীত হন, তখন তাদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় বলে গণ্য হয়।  ফেরেশতারা তাদের জন্য দিন-রাত দোয়া করতে থাকেন।  আল্লাহ তায়ালা বেহেশতকে হুকুম করেন- প্রস্তুত হও, অচিরেই তারা দুনিয়ার ক্লেশ থেকে মুক্ত হয়ে আমার ঘরে আমার সম্মানের পাদদেশে আরাম করার জন্য আসবে।  যখন রমজানের শেষ রাত হয়, তখন সবাইকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, তা কি কদরের রাত? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- না, তোমরা কি দেখ নাই শ্রমিকদের ব্যাপারে? তারা কাজ করে যখন শেষ করে, তখন তাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেয়া হয়। (আল হাদিস-বায়হকী)
হযরত সাহাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজাদারদের শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে বলেন-জান্নাতের একটি ফটকের নাম হল রাইয়্যান। কিয়ামতের দিন এ ফটক দিয়ে রোজাদার ব্যক্তিরা প্রবেশ করবেন। অন্য কেউ এ ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। রোজাদারকে চিহ্নিত করে আহŸান করা হবে এবং তারা এদিকে অগ্রসর হবেন, অন্য কেউ এদিকে প্রবেশ করতে পারবে না। রোজাদারগণ প্রবেশ করার পর তা বন্ধ করে দেয়া হবে। (বুখারি)
রোজাকে হাদিস শরীফে ‘শরীরের যাকাত’ বলা হয়েছে। অন্যত্র বলা হয়েছে-‘রোজা হচ্ছে ধৈর্যের অর্ধেক এবং ধৈর্যের প্রতিদান হচ্ছে জান্নাত। আর পরকালীন শাস্তি থেকে মুক্তিলাভের উপায় হিসাবে রোজা হচ্ছে ঢালস্বরূপ।’
রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-‘আমাদের এবং আহলে কিতাবের (ইয়াহুদি ও নাসারা মানুষের) রোজার মধ্যে পার্থক্য হল, আমরা সেহরী খাই, তারা খায় না। তোমরা সেহরী খাও কারণ এর মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে।’ হযরত মায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সেহরী খেয়েছি। তারপর নামাজে দাঁড়িয়েছি। জিজ্ঞাসা করা হল, উভয়ের (সেহরি ও নামাজ) এর মধ্যে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি উত্তর দেন, ৫০টি আয়াত তিলাওয়াত করতে যতটুকু সময় লাগে, ততটুকু।’
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামদ্বানাল মোবারাকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্কাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাছ ছামিউল আলিম।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়ত করছি। যা তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। অতএব, আমার পক্ষ থেকে তা কবুল কর, নিশ্চয় তুমি শ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
‘আল্লাহুম্মা ছুমতু লাকা ও তাওয়াককালতু আলা রিযক্কিকা আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রা-হিমীন।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে রোজা রেখেছি এবং তোমার রুজি প্রদানের উপর নির্ভর করছি। তোমার রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। হে পরম দয়ালু-দয়াময়।
হযরত উমর খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-যখন ঐ (পূর্ব) দিক থেকে আসে এবং দিন ঐ (পশ্চিম) দিকে চলে যায় আর সূর্য ডুবে যায়, তখন রোজাদার যেন ইফতার করে নেয়। (মুসলিম) হযরত সালমান ইবনে আমির দাববী সাহাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেন-তোমাদের কেউ যখন ইফতার করে তখন তাকে খেজুর দিয়ে ইফতার করা উচিত। তবে যদি সে খেজুর না পায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা উচিত। কারণ পানি হচ্ছে পবিত্র (তিরমিজী )। হযরত আনাস (রাঃ) এর বর্ণিত থেকে পাওয়া যায়, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম নামাজের (মাগরিবের) আগে কয়েকটি তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর তাজা না পেলে শুকনো খেজুর দিয়ে। আর তাও যখন না পেতেন, তখন কয়েক ঢোক পানি পান করতেন। (আবু দাউদ )
শেষ দশ দিন এতেকাফ ঃ রমজানের শেষ দশদিনে এতেকাফ করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কেফায়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসের শেষ দশদিনে এতেকাফ করতেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদিসে বর্ণনা পাওয়া যায়। এতেকাফের সময় প্র¯্রাব-পায়খানা বা ফরজ গোসল ছাড়া অন্য কোন কারণে মসজিদের সীমানার বাইরে গেলে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়।
জরুরি কিছু নির্দেশাবলী ঃ  রোজা রেখে শরিয়তসম্মত কারণ ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে খানাপিনা বা স্ত্রী সম্ভোগ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। আর এতে কায়া ও কাফফরা উভয় ওয়াজিব হয়ে যায়। রোজার কাফফারা হল ক্রমান্বয়ে ৬০টি রোজা রাখা। এমন সামর্থ না হলেও ৬০ জন মিসকিনকে আহার করানো।  অনিচ্ছাকৃতভাবে ওজু-গোসলের পানি বা অন্য কোন খাদ্যবস্তু গলার নিচে গেলে, মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ইত্যাদি কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়, আর এ জন্য শুধু কাযা ওয়াজিব হবে (কাফফারা ওয়াজিব নয়)।  রোজা অবস্থায় সুরমা-আতর ব্যবহার করা জায়েজ।  রোজার জন্য যেরূপ পানাহার, সঙ্গম ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকর কাজ থেকে বিরত থাকা ফরজ, তদ্রƒপ নিয়ত করা ফরজ। যদি কেউ রোজার নিয়ত ছাড়া সারাদিন পানাহার না করে, তবে তাঁর উপবাস হবে, রোজা হবে না। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা ফরজ নয়। মনে মনে সংকল্প বা নিয়ত করে নিলে রোজা হয়ে যাবে। তৎসঙ্গে মৌখিকভাবে মাতৃভাষা বা আরবিতে নিয়ত করে নেয়া উত্তম।  প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ, মুকিম ও সম্পূর্ণ স্থির মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলমান নর-নারীর উপর রমজানের রোজা পালন করা ফরজ বা একান্ত আবশ্যক। অপ্রাপ্ত বয়স্ক, গুরুতর পীড়িত, মুসাফির ও পাগলের প্রতি রোজা রাখা ফরজ নয়। তবে রুংগ্ন ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যলাভ করার পর এবং মুসাফির ব্যক্তিকে মুকিম হওয়ার পর তাদের ভঙ্গকৃত রোজা সমূহের কাযা পালন করতে হবে। মুসাফির ব্যক্তি যদি সফরের অবস্থায় কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তবে তার জন্য সফরের অবস্থায় রোজা রাখা জায়েজ রয়েছে।  গর্ভবতী মা যদি গর্ভের সন্তানের এবং প্রসূতি যদি তার সদ্যোজাত দুগ্ধপোষ্য সন্তানের জীবনের আশঙ্কা থাকে তবে তারাও রুগ্ন ব্যক্তির মত আপাতত রোজা ভঙ্গ করবেন এবং পরে সুবিধামত সময়ে তা কাযা সম্পন্ন করে নিবেন।
রোজার শিক্ষা ও সার্থকতা ঃ প্রকৃতপক্ষে রোজা অর্থাৎ পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকা লক্ষ্য নয়, মাধ্যম মাত্র। অন্যদিকে রোজা মানে ক্ষুধার্ত-অভাবি মানুষের যন্ত্রণাকাতর জীবন উপলব্ধি করা। অসহায় বা সর্বহারা মানুষের ক্ষুধার জ্বালা উপলব্ধির মাধ্যমে সহমর্মিতা পোষণের জন্য রোজার আগমন। আত্মসংশোধন ও আত্মশুদ্ধির মাস হল রমজান। পানাহার ও যৌনক্ষুধার আহŸান থেকে নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেয়া উদ্দেশ্য নয়, নিজেকে সংযমী ও পরের সেবায়, ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা অর্জন উদ্দেশ্য। আর তাই হল রোজার প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..