শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক :: হ্যাগলি ওভালের সবুজ ঘাসের উইকেটে যে কোনো দলই টস জিতলে বোলিং নেয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও তাই করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ কন্ডিশনে টস জিতে নিয়েছিলেন বোলিং। কিন্তু শুরুর দুই সেশনে বোলিংয়ের সুবিধা মোটেই নিতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো দাপট দেখিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন টম ল্যাথাম। সঙ্গে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে ফিরেছেন ওপেনার উইল ইয়ং।
দুই তারকার শুরুর জুটিতে দারুণ শুরু করেছে কিউইরা। বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে দাপট দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল প্রথম সেশনে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। দুবার রিভিউ নিয়ে দুবারই বেঁচে গেছেন ল্যাথাম। প্রথম সেশনে ২৫ ওভারে মোট ৯২ রান তুলেছে কিউইরা।
প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ যাচ্ছে কিউইদের। এরই মধ্যে রান আড়াইশ ছাড়িয়েছে। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ল্যাথাম। তবে আরেক ওপেনার উইল ইয়ংকে এই সেশনে বিদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ১১৪ বল খেলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেছেন এই কিউই ওপেনার।
অথচ সমীকরণটা উল্টো হতে পারত। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথম দিনে ব্যাটিং করা খুব কঠিন। আগের সাত টেস্টে প্রথম ইনিংসে অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল না একটিও। এবার এই কঠিন কন্ডিশনে শুরুতেই ১৪৮ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়েছেন দুই কিউই তারকা ল্যাথাম ও ইয়ং। এটাই এই মাঠে শুরুর জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ল্যাথাম ও হ্যামিশ রাদারফোর্ডের ৩৭ রানই ছিল এতদিন সর্বোচ্চ জুটি।