শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন
মিজানুর রহমান মিজান :: শুরুটা হয়েছিল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায়, সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জোক থেকে আই টি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বন্ধুদের সাথে মিলে আই টি ফার্ম করেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় পুরোদমে আই টি ট্রেনিং এবং ফার্মের কাজ শুরু করেন। দুই বছর প্রতিষ্টান ভালো ভাবে চললেও সফলতার মুখ দেখে নি, তাইতো ভেংগে পড়ে তাদের মনোবল, নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্টান মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে । এভাবেই হারিয়ে যায় তার আই টি ফার্ম ও সফটওয়্যার ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের । এই সময় হতাশা ভর করলেও নিজের প্রতি আত্ন-বিশ্বাসী এই তরুণ শুরু করেন এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, স্বীকৃতি হিসাবে পান দেশ সেরা এ্যাপ ডেভেলপার এওয়ার্ড সহ গুগল থেকে বেস্ট ডেভেলপার এওয়ার্ড। অনেক বড় ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এই উদ্যোক্তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভিতরে একটা জিদ সব সময় ছিল আমি একজন আইটি উদ্যোক্তা হব। তাইতো অনেক টাকা ইনভেস্ট করার পরও উদ্যোগ যখন বন্ধ হয়ে যায় হাতে থাকে মাত্র ৫০০০ টাকা। সেই অল্প টাকাকে পুজি করে আবার নিজের স্বপ্নের পথে চলতে থাকেন । এক বছরের বিরতি দিয়ে আবার শুরু করেন নিজ উদ্যোগ ইস্কিল আই টি নামের প্রতিষ্টান। বাকিটা তার পরিশ্রম আর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। ২০১৮ সাল থেকে সফলতার সাথে চলছে তার প্রতিষ্টান। হাজার খানেক তরুণদের দিয়েছেন আইটি ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের স্বাবলম্বী হওয়ার ট্রেনিং। নিজে পেয়েছেন ২০২০ সালের সেরা তরুণ উদ্যোক্তা এওয়ার্ড। দেশি-বিদেশী কোম্পানিকে আই টি সেবা দিচ্ছে তার সফটওয়্যার ফার্ম।
স্বপ্নবাজ এই উদ্যোক্তা মৌলভীবাজার শহর থেকে দ্যুতি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন সারা বিশ্বে। অসংখ্য তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন তারেক আহমদের মত আই টি উদ্যোক্তা হওয়া।
করোনার সময় এই উদ্যোক্তা শুধু ব্যবসায়িক কার্যক্রমে যুক্ত না থেকে অসংখ্য মানবিক কাজ করে প্রসংশা কুড়িয়েছেন সর্ব-মহলে।
আরো জানা যায়, তারেক আহমদের তৈরি শিশুদের জন্য একটি এ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে ৩ লক্ষ ডাউনলোড ছাড়িয়েছে।