1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

চায়ের দেশে ছোট্ট সাজেক!

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭২২ বার পঠিত

শুভ গোয়ালা :: আকাশের নীল এসে যেন দিগন্ত ছুঁয়েছে। লাল টিনের চাল, চারিদিকে নাই বেড়া। চোখ খোললেই শুধু সবুজ আর সবুজ।

চারদিকে যতদূর চোখ যায়, ছোট-বড় সবুজ পাহাড়। বিভিন্ন জাতের ফুল এবং লহর ফলের সমাহার মন কেড়ে নেয়। তারই মাঝখানে লাল সবুজের পতাকার মতো লাল বৃত্তের যায়গাটা পূরণ করেছে লাল টিনের একটি বেড়াবিহীন ঘর। চায়ের দেশে এ যেন ছোট্ট একটি সাজেক।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া চা-বাগানের ১০ নম্বরে গিয়ে দেখা যায়, চায়ের সমাহারে উঁচু পাহাড়ের এক প্রান্তে কাঠ এবং লাল টিন দিয়ে তৈরি একটি গোলাকার ঘর। নীল আকাশের নিচে এই ঘরের মধ্যে বসে প্রকৃতির অপুর্ব রূপ দেখা যায়।

কুয়াশায় ঘেরা একটি থেকে আরেকটি পাহাড়ের মাঝে যেন আটকে আছে সাদা মেঘের ভেলা। এ যেন এক স্বপ্নের দেশ! স্নিগ্ধ হিমেল হাওয়া, পশ্চিমে রক্তিম আকাশ আর পাহাড়ের নির্মল সবুজ মিলেমিশে একাকার। পাহাড় থেকে ভেসে আসে নানান প্রজাতির পাখির কোলাহল। এই সৌন্দর্যের রাজ্যে না হারিয়ে উপায় নেই। এখানে কখন যে সময় গড়িয়ে যায় তার হিসাব থাকেনা। হিসাব রাখার দরকারও পড়ে না। প্রথমবার গিয়ে মনে হবে অনন্তকাল থাকা যাবে এমন পরিবেশে।

চা-বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য্যের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। রাস্তায় পাওয়া যায় বানরের পাল, গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে লাফাচ্ছে।
বানর(মা) তার ছোট বাচ্চাকে পিঠের উপর বসিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া মানুষকে দেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। এ যেন সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার এক বাস্তব উদাহরণ।

সবুজের গালিচা বিছানো চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমী যে কারো মনকে আন্দোলিত করবে। সবুজ চায়ের ঘ্রাণ মনটাকে প্রফুল্য করে তুলবে। তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন ‘ও পাহাড়িয়া মন, ও বাগানিয়া মন….’।

কথা হয় জেলা শহর থেকে ঘুরতে আসা রাজন কুমারের সাথে। তিনি জানান, পৌষ সংক্রান্তির ছুটি পেয়ে বন্ধুদের সাথে এসেছি এখানে। এখানকার দৃশ্য দেখে মনে হয় চায়ের দেশে এটি একটি ছোট্ট সাজেক। শীতের সময় উচু পাহাড়ের চুড়ায় বসে শীতল বাতাসের মাঝে এক কাপ চা থাকলে আড্ডাটা বেশ ভালোই জমে উঠতো।

আরেক পর্যটক বাদশা মিয়া জানান, তার বাড়ি ঢাকায়, চাকরি করেন মৌলভীবাজারে। যান্ত্রিক শহরে এমন মনোরম জায়গা পাওয়াই যায়না। ছোট-বড় সবুজ পাহাড় দেখতে বেশ ভালোই লাগে। এখানে এসে কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে, তাও যেতে মন চায়না। ভাবছি পরিবারকে নিয়ে একদিন চলে আসবো।

পরিবেশপ্রেমী ও সাংবাদিক কামরান আহমদ বলেন, কালের বিবর্তনে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক মুগ্ধকর স্থানগুলো। পাহাড়, টিলা, বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে। এইসব জায়গাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের তৎপর হতে হবে। নিয়মিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইভোম্য্যাক্স আইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম বলেন, কাজের ফাকে আমিও এখানে প্রকৃতিকে ছোঁতে যাই। যদিও এটা কোনো পর্যটন কেন্দ্র না, তবুও প্রতিদিনই এখানে কমবেশি মানুষ ঘুরতে আসেন। বিশেষকরে সরকারি ছুটির দিনে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা বেশিই থাকে। প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সুস্থ-সুন্দর দেহ-মন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..