শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি : টিলা কাটার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামসহ আরো দুই জন। গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে শুনানীতে টিলা কাটার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অব্যাহতি প্রদান করেন বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। এছাড়াও অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে আব্দুছ শুকুর ও বেগুন বেগম নামে স্থানীয় দুইজন অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ৪ জনের সম্পৃক্ততা থাকায় তাঁদেরকে জরিমানা করা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। টিলা কাটায় সম্পৃক্ততা থাকায় ভাটেরার ইসলামনগরের বাসিন্দা মৃত তৈয়ব আলীর চার পুত্র নুরই মিয়াকে ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, মতিন মিয়াকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, সিরন মিয়াকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, নিজাম মিয়াকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা গণমাধ্যমকে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলামসহ ৭জনকে টিলাকাটার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা নিশ্চিত হয়েই প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু রোববার শুনানীতে ইউপি চেয়ারম্যান কিভাবে অব্যাহতি পেলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সুদুত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ভালো বলতে পারবেন।’
কুলাউড়ার ভাটেরায় টিলার মাটি দীর্ঘদিন ধরে ধসে গিয়ে একটি স্কুল ও মসজিদের দেয়ালের উপর আছড়ে পড়ায় এতে হুমকির মুখে পড়ে স্কুল ও মসজিদসহ কয়েকটি বাড়ি। তাই ধসে যাওয়া মাটি অপসারণ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আর সেই ধসে যাওয়া টিলা কাটার ও মাটি বিক্রির অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানসহ ৭ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়।