রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় অতিজরুরি ত্রাণ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অবতরণ করেছে।
আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত ও সুনামিতে বসতিগুলো ধ্বংস হওয়ার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিদেশি একটি বিমান দেশটিতে নামল।
নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, কর্মীরা টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করার পর সেখানে তাদের একটি সামরিক বিমান নেমেছে। তাদের পাঠানো অন্য বিমান ও জাহাজগুলো পথে রয়েছে।
শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সুনামি সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিন জন নিহত হয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুষিত হয়ে পড়ে। অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পাঁচ দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর টোঙ্গা বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু করেছে।
রাজধানী নুকু’য়ালোফার বিমানবন্দরের রানওয়ে ঘন ছাইয়ের স্তরে ঢাকা পড়ায় সেখানে বিমান নামতে পারছিল না। দেশটির উদ্ধারকারী দলগুলো ও স্বেচ্ছাসেবকরা বেলচা ও ঠেলাগাড়ি ব্যবহার করে বিমানবন্দরটির টারমাক পরিষ্কার করতে চার দিন ধরে প্রাণান্ত পরিশ্রম করার পর বুধবার ছাই সরানোর কাজ শেষ হয়।