সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: আদালতের গঠন করা পাঁচ সদস্যের বোর্ডের কাছে পাসওয়ার্ড না থাকায় কাটা হচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লকার।
সোমবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকার কাটা শুরু হয়।
এর আগে, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডির ইভ্যালির কার্যালয়ে এসেছেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
লকার কাটার লোকজনও এসেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত। একটু পরই খোলা হবে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকার। ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে ধানমন্ডি থানার একটি দলও উপস্থিত হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তার পাঁচ সদস্যের বোর্ড আজ ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।