ডেস্ক রিপোর্ট : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। সকাল ৯টায় পূজা কার্যক্রম শুরু হয়েছে আর ১০টা থেকে শুরু হয়েছে অঞ্জলি প্রদান। তবে করোনার কারণে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। পূজাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সীমিত পরিসরে।

সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। তবে করোনার কারণে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল।

শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। শনিবার সকাল ৭টা ৭ মিনিটে পঞ্চমী তিথি শুরু আর আগামীকাল রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে।

এদিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজা পালিত হয়ে থাকে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করে থাকেন। সরস্বতী পূজার দিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামণ্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে।

সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজার বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে প্রতিবছর বড় আয়োজন থাকলেও এবার করোনার কারণে সীমিত পরিসরে চলছে কার্যক্রম।

এছাড়া এবার জাতীয় প্রেসক্লাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শুধু উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় হবে আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।