1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

টিসিবি পণ্যে সিন্ডিকেটের থাবা : মির্জা ফখরুল

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৬৪ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সরকারের প্রতিষ্ঠান টিসিবিই বাড়িয়ে দিয়েছে। বরাবরের মতো এবারো সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়েছে। দাম বৃদ্ধি সবসময় থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। কিন্তু এখন তা দেখা যাচ্ছে না। মঙ্গলাব দুপুরে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আগে রমজানের সময় টিসিবি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করত, সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমায় রাখার চেষ্টা করত। এবার ওই টিসিবি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন যে সবজি, মাছ, মুরগি, গরুর গোশত, খেজুর, সব কিছুর দাম এখন ক্রয় সীমার বাইরে।

তিনি বলেন, সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিল, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। আর এখন চালের দাম কত সবাই জানে। এটার একটা উদ্যোগও তারা নিয়েছিল, তবে সাধারণ মানুষ নয় আওয়ামী লীগের লোকজন এর সুবিধা পেয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। জনগণের কল্যাণের চিন্তা তারা করে না। ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউনের নামে অকার্যকর শাটডাউন তৈরি করেছে। কিসের লকডাউন? লঞ্চ, বাস ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। কাজ ও খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে এসব মানুষ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না, আমরা বলছি, অকার্যকর একটা শাটডাউন এটা। যে যেভাবে পারছে যাচ্ছে। পোশাককারখানা খোলা রাখছে, অথচ ব্যাংক বন্ধ রাখছে। মূলত সরকারের কাজে কোনো সমন্বয় নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো রোডম্যাপ নেই। এই যে সাত দিন লকডাউন, তার পরে কী হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, সরকারের দুর্নীতি চরম পর্যায়ে যাওয়ার কারণে, এক দলীয় শাসনের কারণে এডমিনিস্ট্রেশনসহ কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফখরুল বলেন, বিএনপির লোকজন, যারা বড় ব্যবসায়ী ছিলেন তারা গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের দু্ঃশাসনে সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছে। সারা দেশে এ করুণ চিত্র। যারা ঢাকা শহরে মোটর সাইকেলে রাইডিং করে তারা গ্রাম থেকে এসেছে একটু আয়ের আশায়। তাদেরও আজ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করে সরকার এ যে ঘটিয়েছে সেটাকে পুঁজি করে সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই লকডাউনের মাঝেও বিরোধী দল ও মতের লোকদের দমন করছে। বাক-স্বাধীনতার অধিকার সবার আছে, অথচ সরকার বিরোধী মত দমন করতে একের পর এক আইন করছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোথাও কোনো সরকার টিকে থাকতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমন নজির ইতিহাসে কোথাওনে। এ সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। আমরা আবারও আহ্বান জানাই জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণের অধিকার হরণ করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে ফখরুল বলেন, সারা দেশের মানুষ বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করছেন। আমরা সবাই দোয়া করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আমরা সব সময় খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা সবসময় বলছি একটা জাতীয় কমিটি করেন সব রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে। সেটা সরকার করছে না, করবে না। কারণ এটা করলে তো তাদের যে লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..