রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
সাদিকুর রহমান সামু :: কমলগঞ্জের কালীপুর ‘পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদ’ এর নির্মাণাধীন অজুখানা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা রাতে অজুখানা ভাঙ্গার হুমকির পর গভীর রাতে হুমকি দাতা অজুখানা ভাঙ্গেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে কালীপুর গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪ শতক জমি দান করেন কালীপুর গ্রামের মৃত হাজী খনিজা বিবি। পরবর্তীতে মসজিদ প্রশস্ত করার জন্য তার দুই ছেলে শিব্বির আহমেদ সামছুদ্দীন ও বোরহান উদ্দিন এবং তিন মেয়ে মিলে আরো সাড়ে ৬ শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন। দানকৃত ওই জমিতে ‘পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদ’ নামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মসজিদে কোনো অজুখানা না থাকায় মসজিদ কমিটি সম্প্রতি মসজিদে অজুখানা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি মাসের গত সাপ্তাহে অজুখানা নির্মাণ কাজ শুরু করলে দাতা খনিজা বিবির বড় ছেলে হাজী আব্দুল হাই নির্মাণ কাজে বাধা দেন। তার আপত্তি না মেনে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে গত রোববার (১১ এপ্রিল) কমলগঞ্জ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম ওইদিন ঘটনাস্থল তদন্ত করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। এ বিষয়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতে কমলগঞ্জ থানার সামনে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে বসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয় পক্ষের বক্তব্য রাখেন। বৈঠক চলাবস্থায় কালীপুর গ্রামের আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। সালিশে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায় সালিশ বৈঠক মুলতবি করে আগামী শুক্রবার মসজিদে পঞ্চায়েত কমিটি বৈঠকে বসার কথা ছিল। তার আগেই সোমবার গভীর রাতে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলা হয়। স্থানীয় মুসল্লি সহ মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ এর অভিযোগ রাতের আধারে হুমকি দাতা খোকন গংরা অজুখানা ভেঙ্গে ফেলেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কালীপুর পাক পাঞ্জতন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ। অভিযোগে আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও হাজী মফিজ আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আসামী করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত খোকন মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ
থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অজুখানা ভাংচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান অপর অভিযুক্ত হাজী আব্দুল হাই। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছি। রাতের আধারে নির্মানাধীন অজুখানার বেশ কিছু অংশ কে বা কারা ভেঙ্গে ফেলেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।