বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১২:১১ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : মৌলভীবাজার আম্পায়ার এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও ক্রিকেট কোচ রুমান মজুমদার প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সিলেট ভেন্যুতে স্কোরার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও স্কোরার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
স্কোরিং করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে তিনি মৌলভীবাজার জেলার বয়সভিত্তিক দলগুলির কোচ ও মঈন উদ্দিন একাডেমির প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একইসাথে রুমান আই নিউজ (Eye News)-এর স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক রফি আহমদ মজুমদার ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মাহমুদা খানম মজুমদারের ছোট ছেলে রুমান মজুমদার। তিনি জানান, বড় ভাই সারওয়ার মজুমদার ইমনকে দেখে তাঁর ক্রিকেটে আগ্রহ জন্মায়। তারা তিন ভাই-ই ক্রিকেটের সাথে জড়িত। তার চাচা আমেরিকা প্রবাসী নাজিম মজুমদার ভালো ফুটবলার ছিলেন।
সুনামগঞ্জে ২০০০ সালে অনুর্ধ্ব ১৩ দলের ক্যাম্পে সুযোগ পান রুমান। এরপর ২০০১ সালে অনুর্ধ্ব ১৫ ও ২০০২/০৩ মৌসুমে অনুর্ধ্ব ১৭ মৌলভীবাজার জেলা দলে খেলেন। এরপর ২০০৫ সালে সাইফুর রহমান গোল্ডকাপে ম্যান অব দ্যা টুর্নার্মেন্ট হওয়ার পর ক্রিকেট খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে স্কোরিং ও ক্রিকেট কোচ হিসেবে মনযোগী হয়ে পড়েন।
তিনি ২০০২ সালে আম্পায়ার ও স্কোরিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ক্রিকেট কোচিংয়ে লেভেল এ সম্পন্ন করেন। তার হাত ধরেই কাশিনাথ আলাউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের এক হাজারের অধিক স্কুলের মধ্যে স্কুল ক্রিকেটে রানার্সআপ হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে জেলার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নার্মেন্টে ক্লাব সান ফ্লাওয়ার তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এখন মঈন উদ্দিন একাডেমির ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন রুমান মজুমদার। যার ফলস্বরূপ বলিয়ারভাগ গ্রামের ক্রিকেটাররা আজ জেলা ছাড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নিচ্ছে। এবারের অনুর্ধ্ব ১৪ সিলেট বিভাগীয় দলে মঈন উদ্দিন একাডেমির দুইজন ক্রিকেটার খেলছেন সিলেট অনুর্ধ্ব ১৪ বিভাগীয় মূল দলে।
রুমান মজুমদার ক্রিকেটের পাশাপাশি মানবসেবায় ও কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবছর রোজা ঈদে অন্তত ৫০০-৭০০ ঘরে পৌঁছে যায় তার প্রতিষ্ঠিত গ্রিন লীফ পরিবারের উপহারের ব্যাগ। এছাড়াও বন্যা, করোনায় আক্রান্তদের পাশে থাকা ছাড়াও প্রতি মাসে একটি পরিবারকে সাহায্য করে যাচ্ছে গ্রিন লীফ পরিবার।