1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম

মিয়ানমারে সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা জাতিসংঘের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৫৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাসলেট এই আহ্বান জানান। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির সাধারণ মানুষের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের ফলে মিয়ানমারে সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের এই প্রধান বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩ হাজার ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া গোপন বিচারে ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেনের এক সহযোগীকে হত্যার দায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা সরকার। গত ১০ এপ্রিল সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়াওয়াডি টেলিভিশনে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনের ওক্কালাপা জেলায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর ওই জেলায় সামরিক আইন ঘোষণা দিয়ে সামরিক আদালতকে ( কোর্ট মার্শাল) রায় দেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়। ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থান সংগঠিত হওয়ার পর জান্তা সরকারের এটা ছিল জনসম্মুখে প্রথম কোনো রায়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিসহ তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বস্থানীয় ২০ এর অধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে তারা জরুরি অবস্থা জারি করে। কিন্তু মিয়ানমারের সাধারণ জনতা সামরিক শাসন প্রত্যাখান করে এর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে। অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গুলিতে ৪৮ শিশুসহ ৭০০ জনের অধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবুও জান্তা সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সহিংসতার দিকে এগোচ্ছে আশঙ্কা প্রকাশ করে মিলেশ ব্যাচলেট বলেন, অতীতে সিরিয়া কিংবা অন্যান্য দেশে যেরকম হয়েছে কোনো দেশের তেমন মারাত্মক ভুলের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..