1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩৮৪ বার পঠিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : ‘সবাই মিলে বেতার শুনি,বেতারে আস্থা রাখি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারে পালিত হলো বিশ্ব বেতার দিবস। রেডিও পল্লীকণ্ঠের আয়োজনে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রেডিও পল্লীকণ্ঠের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার মো. মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে ও রেডিও পল্লীকণ্ঠের অনুষ্ঠান প্রযোজক আল-আমীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেডিও পল্লীকণ্ঠের সহ-সভাপতি এবং বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাহিদ আহমেদ চুন্নু।

এ সময় তিনি বলেন, কমিউনিটি রেডিও হচ্ছে অঞ্চলভিত্তিক। আগে রেডিওতে প্রমিত ভাষায় কথা বলা হত। এখন কমিউনিটি রেডিওতে আঞ্চলিক ভাষায় পরিচালিত হয়। এতে ওই এলাকার মানুষ নিজেকে অনুধাবন করতে পারে এবং মনে করে সেই কথা তার জন্য বলা হয়েছে। ফলে রেডিওর শ্রোতা বাড়ে, শ্রোতারা রেডিওকে নিজের মনে করে গুরুত্ব দেয়। রেডিও পল্লীকণ্ঠ এখন মানুষের কাছে একটা আস্থার জায়গা। তাছাড়া কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে রেডিও পল্লীকণ্ঠ মৌলভীবাজারবাসীদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত গর্বের বিষয় ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ। তিনি বলেন, রেডিও পল্লীকণ্ঠ একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। করোনার সময় মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি, মানুষ আতঙ্কের মধ্যে ছিলে। সেই সময় রেডিও পল্লীকণ্ঠ কাজ করে গেছে, তারা অনলাইনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে গেছেন এবং অনেক তথ্যবহুল সংবাদ প্রচার করেছেন। তাছাড়া করোনার সময় পত্রিকা অনেকদিন বন্ধ ছিলো কিন্তু রেডিও একদিনের জন্যও বন্ধ ছিলো না এবং সেই সময়ে যে অনুষ্ঠান হয়েছে সে জন্য রেডিও পল্লীকণ্ঠের কাছে আমরা ঋণী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে রেডিও পল্লীকণ্ঠ যেভাবে কাজ করছে সেটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত জানান, আশির দশকের কথা বলি,আমি ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো রেডিও। রেডিওতে সব ধরনের গান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান শুনতাম। তখন কয়েকটা রেডিও স্টেশন ছিলো। এখন রেডিওর সংখ্যা বেড়েছে এবং সরকার রেডিওকে এখন অনেক ডিজিটাল করেছেন। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় স্যটেলাইট টিভি নেই, কিংবা প্রত্যন্ত এলাকায় পত্রিকাও যায় না সেক্ষেত্রে সেখানে রেডিও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। আর রেডিও যেকোনো জায়গায়, যেকোনো স্থানে শোনা যায়। বর্তমানে যুবকদের মধ্যে জানার আগ্রহ বেশি। যুবকদের চাহিদামত অনুষ্ঠান করলে, কিংবা কোন অফিসে গেলে কোন ধরণের সেবা পাওয়া যাবে, বিশেষ করে বেকার যুবক-যুবতী যারা তাদের জন্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো যেতে পারে যে, কোন জায়গা থেকে থেকে তারা জীবনমান উন্নয়ন প্রশিক্ষন নিতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবকরা অনেক উপকৃত হবেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রোতাক্লাবের সদস্য এবং রেডিও পল্লীকণ্ঠের সকল প্রযোজকবৃন্দ।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..