শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না। অসংখ্য ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান এক সময়ের এই ঢালিউড কিং। মৃত্যুর পরও তার জনপ্রিয়তা এখনো অমলিন। চিত্রনায়ক মান্নার আকস্মিক মৃত্যু তখন কেউই মেনে নিতে পারেননি। তার মৃত্যুর এতদিন পরও সেই ক্ষত আজও শুকায়নি।
আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) চিত্রনায়ক মান্নার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভক্ত ও সহকর্মীরা স্মরণ ও দোয়া চেয়েছেন। এদিকে তার পরিবারের পক্ষ থেকেও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
মান্না নামে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম এস এম আসলাম তালুকদার। ১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ প্রতিবাদী নায়ক। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। এরপর চলচ্চিত্রাঙ্গনে নিবেদিত এক শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।
নব্বই দশকে অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হলে যে কজন প্রথমেই প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের মধ্যে নায়ক মান্না ছিলেন অন্যতম। অশ্লীল চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করে শেষ অবধি জয়ী হয়েছিলেন তারা।
দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান মান্না। তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল সিনেমার অন্যতম।
মান্না তার জীবদ্দশায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই, পিতা মাতার আমানত, তওবা, পাগলী, কাসেম মালার প্রেম, চাঁদাবাজ, ত্রাস, তেজী, মিনিস্টার, প্রেম দিওয়ানা, ডিস্কো ড্যান্সার, খল নায়ক, শান্ত কেন মাস্তান, গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান, কুখ্যাত খুনী, রংবাজ বাদশা, বসিরা, ঢাকাইয়া মাস্তান, মেজর সাহেব, আরমান, মাস্তানের ওপর মাস্তান, বিগবস, টপ সম্রাট, সুলতান, ভাইয়া, বিদ্রোহী সালাহউদ্দিন, বাবা, কিলার, টপ টেরর, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, এতিম রাজা, টোকাই রংবাজ প্রভৃতি।
২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও জমা হয়েছে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে।