স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে দোকানে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রæয়ারী গুরুত্বর আহত ফয়ছল মিয়া(৩৮) দীর্ঘ দিন মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ে সিলেট প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহত ফয়ছল মিয়ার ভাতিজা মাহিন আহমদ(২০)আহত হয়। ফয়ছল মিয়ার মৃত্যুতে কমলকলস এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সন্ত্রাসী হামলার পরদিন মডেল থানায় অভিযোগ করলেও ফয়ছল মিয়ার মৃত্যুও পরদিন ১৭ ফেব্রæয়ারী হত্যার মামলা রেকর্ড করা হয়। অভিযোগে জানাগেছে, ২ ফ্রেব্রæয়ারী কমলকলস দরগার ওয়াজ মাহফিলে যায় ফয়ছল মিয়া ও তার ভাতিজা মাহিন আহমদ। মাহফিল চলাকালে একটি চায়ের দোকানে তাহারা চা খেতে যায়। এ সময় নাহিদ মিয়া(২৫) এর সাথে কথাকাটা কাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাহিদ মিয়া তাদেরে মারধোর করে। এ সময় উপস্থিত লোক জনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়। ওয়াজ শুনে তারা বাড়ি ফেরার সময় আহমদ বক্স এর বাড়ির সামনে নাহিদ মিয়া, সোহাগ বক্স, আহমদ বক্স, রিপন বক্স, জুনেদ বেগ, নাইম বক্স, রাহি বক্স, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রাম দা , লোহার রড়, চাকু, কাঠের রোল দিয়ে মেরে মারাতœক ভাবে আহত করে। এ সময় তাদের মূল্যবান জিনিষ পত্র নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরিবারের লোক জন খবর পেয়ে তাদেরে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাহিন আহমদকে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। ফয়ছল মিয়ার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওআইসিস প্রাইভেট হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মঙ্গলবার(১৬ ফ্রেব্রæয়ারী) গুরুত্বও আহত ফয়ছল মিয়া(৩৮) দীর্ঘ দিন মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনার পরদিন মৌলভাবাজার মডেল থানায় ফয়ছল আহমদের পিতা আব্দুল মোতালিব অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড হয়নি। নিহতের ঘটনায় ১৭ ফেব্রæয়ারী একটি হত্যার মামলা রেকর্ড করা হয়। এব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।