1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

যমজ বোনের লাশ উদ্ধার : মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৫১১ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : খুলনার তেরখাদায় যমজ শিশু হত্যার অভিযোগে মা কানিজ ফাতেমা কনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুদের বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।

আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তেরখাদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শিশুদের বাবা বাদী হয়ে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা কনাকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় যমজ শিশুর মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি প্রথমে শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে পুকুরে ফেলে দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক জানান, চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার চাকলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের মেয়ের সঙ্গে মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যমজ কন্যাসন্তান হওয়ার পর থেকে গত দুই মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। শিশু দুটি খুব কান্নাকাটি করত। এ বিষয়ে কনা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বলা হয় আগামী মাসে তাকে বাড়ি নেওয়া হবে। কিন্তু এর আগেই তাদের হত্যা করে কনা।

তিনি জানান, মনি-মুক্তা রাতে অস্বাভাবিক জ্বালাতন করছিল। প্রথমে কনা তাদের দুধ খাওয়ায়। এরপরও তারা থামছিল না। রাত আড়াইটার দিকে বাচ্চা দুটির মুখে চড় মারেন কনা। পরবর্তী সময় মুখে বালিশচাপা দিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাই নাটক সাজানোর জন্য বাচ্চা দুটিকে পুকুরে ফেলে দেন।

শিশুদের পুকুরে ফেলে দেওয়ার পর ঘরের দরজা খুলে ঘুমিয়ে পড়েন কনা। যেন বিষয়টি কেউ ঠিক না পায়। রাত ৪টার দিকে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে কনা। পাড়ার লোকজন তাদের বাড়িতে জড়ো হয়। এরপর সবাই শিশুদের খোঁজ নিতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে নানি শরিফা খাতুন ও মামা নুর আলম।

পরে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এরপর ওই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ওপর নজর রাখেন এই কর্মকর্তা। পরবর্তী সময়ে বিকেলে কনা, তার বাবা ও মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কনা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে কনা যমজ শিশু হত্যার কারণ পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা করে। পরে অপর দুজনকে ছেড়ে দিয়ে কনাকে আটক রাখে। এ ঘটনায় শিশুদের বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..