সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে সৎ ছেলের অত্যাচারে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় এক মা বাড়ি ছেড়ে মানবেতর জীবন কাটানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকার অফিসে। লিখিত বক্তব্যে বলেন, সৎ ছেলেদের অত্যাচারে তিনি জীবনের নিরাপ্তাহীনতায় আছেন। সদর উপজেলার পালপুর হালোয়া গ্রামের মৃত মতিন মিয়ার স্ত্রী ছায়া বেগম(৫০) তার এক ছেলে আব্দুল বাছিদ(৩২) কে নিয়ে নিজ নামীয় বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তাহার সৎ ছেলে জিয়াউর রহমান, হাবিব মিয়া ও তার ছেলে রিমন মিয়া, স্বপন মিয়া, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী শিবলী বেগম তাহার বাড়ি সম্পদ আতœসাতের জন্য নির্যাতন করতে শুরু করে। পুকুরের মাছ, বাড়ির ফসলাদি জোড় পূর্বক নিয়ে যায়। এলাকার মুরব্বিয়ানদের নিকট বিচার প্রার্থী হলেও ওরা দাংগাবাজ লোক কারও কথা মানতে রাজি হয়নি। বরং তাদেরে খুন করার পায়তারা করে। গত বছর ১১ মার্চ উল্লেখিত ব্যক্তিরা বসত বাড়ি,পুকুরের মাছ ধরা ও বিদ্যুতের তার সংযোগ নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে। এক পর্যয়ে ঘরে প্রবেশ করে তাদেরে মেরে মারাতœক ভাবে জখম করে। মাথা, হাতে, বুকে কয়েকটি অপারেশন ও সেলাই লাগে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে কয়েক দিন চিকিৎসা করার পর নিরাপত্তার স্বার্থে বৃদ্ধ ছায়া বেগম মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার ছেলে মৌলভীবাজার এক দোকানের ঘরের মেঝে মানবেতর ভাবে রাত কাটায়। এই ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর আদালতে মামলা করার পর বাড়িতে গেলে ঘরে ঢোকার পর তারা তাদেরে আটক করে রাখে। এসময় ৯৯৯এ ফোন করার পর মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে আনেন। বসত বাড়ির গাছ, মাছ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। জিয়াউর রহমান দাবী করে ১০ লাখ টাকা দিলে বাড়িতে বসবাস করতে দেবে। আদালতের মামলা মৌলভীবাজার মডেল থানায় এফ,আই,আর ভূক্ত হওয়ার পরও পুলিশ আসামীদেরে গ্রেফতার না করায় জীবনের নিরাপ্তাহীনতায় মারাতœক অসুস্থ থাকার পরও মেয়ের বাড়িতে বসবাস করছেন ছায়া বেগম। তাদের মারধোরের কারনে ছায়া বেগম মাথায় সমস্যা হয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। ২০০৫ সালে তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় সৎ ছেলে মো: জিয়াউর রহমান, সাইদুর রহমান, হাবিবুর রহমান টাকা পয়সার ও সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না পেলে মারধোর করতো ও খুনের হুমকি দিত। একবার তাদেরে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মেরে মারাতœক ভাবে জখম করে। উল্লেখিত ঘটনায় ৩টি মামলা হওয়ার পরও আসামীরা বাড়িতে নির্বিঘেœ অবস্থান করছে। মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ রহস্য জনক কারনে এফ, আই,আর ভুক্ত আসামী গ্রেফতার করছে না বলে সংবাদ সম্মলেনে দাবী করেন ছায়া বেগম।