শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
বিকুল চক্রবর্তী: মৌলভীবাজরের শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে দেশের সবচেয়ে ছোট শহীদ মিনারে স্পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ কুমার সেন তরুণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল থানা ট্রাফিক ইন্সিপেক্টর তপন তালুকদার ও লন্ডন প্রবাসী খায়রুল ইসলাম।
রবিবার রাতে মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ সেন তরুণের বাসার চিত্রসালায় রক্ষিত কাটের তৈরী এই ছোট শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অপর্ণ শেষে শহীদদের আত্মার শান্তিকামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ কুমার সেন তরুণ উপস্থিত সকলের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্যদেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ কুমার সেন তুরুণ তাঁর বাসায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, তাঁর সংগীয় যোদ্ধা ও বিভিন্ন দেশের অসাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিদের ছবি দিয়ে তিনি স্থাপন করেন একটি চিত্রশালা। পাশাপাশি নিজের বার্ধক্যতা ও চলমান করোনা পরিস্থিতিতে শহীদ মিনারের ভিড় এড়াতে সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরী করেন ছোট এই শহীদ মিনার। যার উচ্চতা সাড়ে ১১ ইঞ্চি, লম্বা ১১ ইঞ্চি, চওড়া ৮ ইঞ্চি, বেদি দুই ইঞ্চি, দুই পাশের মিনারের উচ্চতা ৬ ইঞ্চি করে এবং মধ্যের মিনারের উচ্চতা সাড়ে ১১ ইঞ্চি। ঘরের এক কোনে রেখে, কখনও বুকের সামনে রেখে বিভিন্ন দিবসাদিতে এটিতেই শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ অপণ করেন।
বিরাজ সেন তরুণের এই ছোট শহীদ মিনার ও চিত্রশালা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে সহায়তা করবে বলে জানান মুক্ত চিন্তার মানুষেরা। শ্রীমঙ্গল থানা ট্রাফিক ইন্সিপেক্টর তপন তালুকদার জানান, বিরাজ সেন তরুণের এই চিত্রশালা একটি সমৃদ্ধ চিত্রশালা। আর তাঁর তৈরী ছোট শহীদ মিনার শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণকরা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট শহীদ মিনার হবে বলে তার ধারনা।
বিরাজ সেন তরুণ জানান, ১৯৭৫ সালে স্ব পরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর আবারও অস্ত্র হাতে যোগদেন কাদের বাহিনীতে। তিনিসহ অনেকেই তৎকালীণ সরকার বিরোধী হিসেবে খ্যাত হওয়ায় দেশে ছিলো না নিরাপত্তা। ফলে জীবনের দীর্ঘ সময় ফেরারী হয়ে কাটিয়েছেন বিদেশে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি আমেরিকা থেকে দেশে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি যেভাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত করেছিলেন দেশে এসে সেভাবেই জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন কর্মকান্ডে।
বর্তমানে নিজের অসুস্থতা ও বয়সের কারনে শহীদ মিনারে যেতে পারেন না তাই তিনি ছোট এই শহীদ মিনারটি তৈরী করে এতেই শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেন।