সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে করোনার সব বিধি নিষেধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনের ক্ষেত্রে কোন আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে জনসন জানান, অন্যকে সংক্রমিত করা থেকে বিরত থাকতে করোনা শনাক্তদের নৈতিক দায়িত্ব থেকেই আইসোলেশনে থাকা উচিত।
এদিকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশটিতে ফ্রি করোনা পরীক্ষাও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বরিস জনসন। এ সময়ের পর শুধু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের এই সুবিধা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী দলগুলো জানিয়েছে, করোনা নির্ণয়ে ফ্রি পরীক্ষা বন্ধ হলে দেশটি আবারও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
‘কোভিডের সঙ্গে বসবাস’ নীতির আওতায়ই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাজ্যের সরকার। সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাজ্যই হবে ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বাজার, গণপরিহন, কর্মস্থল ও অন্যান্য জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বাধাহীনভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।
সোমবার সন্ধ্যা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বরিস জনসন। তার আগে সকালে এক বিবৃতিতে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জল দিন হিসেবে স্বীকৃত হবে। কারণ, আজই আমরা ঘোষণা করতে যাচ্ছি যে, আমরা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি কীভাবে কোভিডের সঙ্গে কীভাবে বসবাস করা সম্ভব— তা শিখতে শুরু করেছি।’
যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার একদিন পরই বিধিনিষেধ তুলে নিতে যাচ্ছে ব্রিটেন। তবে রোববার এক ভাষণে জনসন দেশবাসীকে করোনা বিধিনিষেধ সম্পর্কে পুরোপুরি উদাসীন না হয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যতখানি সতর্কতা মেনে চলা সম্ভব— তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাশাপাশি যারা এখনো টিকার ডোজ নেননি, তাদেরকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৮ দিনে যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনায় মৃত্যুর হিসেবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ব্রিটেন।
অবশ্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতেও বেশ সফল যুক্তরাজ্য। দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, ৮১ শতাংশ নিয়েছেন টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ।
সর্বশেষ পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা বরিস জনসনকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।