1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিত্তবানদের ওপর যুক্তিসঙ্গত চাপ প্রয়োগের পরামর্শ বিইএ’র

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২০০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপর চাপ বাড়ানোর সংস্কৃতি বন্ধ করে কর আদায়ে বিত্তবান-ধনীদের ওপর যুক্তিসঙ্গত চাপ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএ)।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম এমন বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক। আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ ও (ভ্যাটনীতি) জাকিয়া সুলতানা।

অর্থনীতি সমিতি বলছে, করোনা-উদ্ভূত বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে জাতীয় বাজেটের জন্য সম্পদ আহরণ করতে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে ধনী, বিত্তবান, সম্পদশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যারা সম্পদ-আয় ও মুনাফার অর্থমূল্য কম প্রদর্শনের মাধ্যমে সঠিক কর দেয় না, তারা যেন সঠিক পরিমাণ কর দেয়, তা শক্তভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তাবনায় অর্থনীতি সমিতি বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারকে চার মাত্রিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ওপর জোর দিতে বলেছে। কারণ অর্থনৈতিক মহামন্দা ও কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের সব দেশই এখন অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাগত, স্বাস্থ্যগত ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

সমিতি মনে করে, করোনার প্রভাবে নিরঙ্কুশ দরিদ্র, হতদরিদ্র, চরম দরিদ্র, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্য-মধ্যবিত্ত মানুষের ব্যাপকাংশ দরিদ্রতর হয়েছে। কর্মবাজার ভীষণভাবে সংকুচিত ও বিপর্যস্ত। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের ওপর নতুন খড়গ হয়ে নেমে এসেছে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি। এসব মিলিয়ে বৈষম্য নিরূপণের মাপকাঠি গিনি সহগ ও পালমা অনুপাত অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন উচ্চ ও বিপজ্জনক আয় বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছে।

কোভিড-১৯ রোধে দেওয়া লকডাউন ও বিধি-নিষেধে নিঃস্ব, সর্বস্বহারা, হতাশাগ্রস্ত, ও ভাগ্যনির্ভর মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে আয়, সম্পদ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য হ্রাসের যত পথ ও পদ্ধতি আছে তা প্রয়োগ করে সবার আগে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভাইরাসপূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে বলে মনে করে অর্থনীতি সমিতি। তাদের মতে, আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে কোনোভাইে সংকোচনমূলক না করে বরং সম্প্রসারণশীল ও বৃহদাকার রূপে প্রণয়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আয়, ধন ও সম্পদের বণ্টনকে ন্যায্য করা। অর্থাৎ ধনীদের কাছ থেকে তা প্রবাহিত করতে হবে দরিদ্র, বিত্তহীন ও নিম্নবিত্ত মানুষের দিকে।

রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে দরিদ্রদের ওপর প্রত্যক্ষ করের বোঝা না বাড়িয়ে ধনী-বিত্তশালীদের ওপর সম্পদ-কর আরোপ করতে হবে, সুপার-ডুপার ধনীদের ওপর করের হার বাড়াতে হবে এবং ৮০ শতাংশ শেয়ার-বন্ডের মালিক গুটিকয়েক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বড় বড় বিনিয়োগের ওপর সম্পদ-কর আরোপ করতে হবে।

সমিতির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর আরোপ এবং কালো টাকা ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করতে নিতে হবে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। দেশপ্রেম ও সদিচ্ছা থাকলে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা কঠিন কিছু নয়। পরোক্ষ করের বোঝা মূলত দরিদ্র, প্রান্তিক, নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্য-মধ্যবিত্তদের ওপর তাদের আয়ের তুলনায় অধিক হারে চাপ প্রয়োগ করে; ফলে তা দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস না করে উল্টো আরও বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে পরোক্ষ করের তুলনায় প্রত্যক্ষ করের অনুপাত বেশি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

অর্থনীতি সমিতির মতে, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ যৌক্তিক, নৈতিক, মানবিক সব বিচারেই সম্ভব। আর এ জন্য সরকারকে বাজেট প্রণয়নে সংবিধানের বিধানসমূহকে মৌলভিত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয়া-উদারবাদী দর্শনের বিপরীতে থেকে অধিকতর সক্রিয় ও ফলপ্রদ ভূমিকা নিতে হবে। বাজেটে সরকারের আয় ও ব্যয় খাতের কাঠামোগত রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা জরুরি।

সমিতি বলছে, আমদানি শুল্ক নির্ধারণে দেশজ শিল্পায়ন ও দেশজ কৃষির স্বার্থ বিবেচনায় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ খাত-উপখাতসমূহের ক্ষেত্রে চাপিয়ে দেওয়া মুক্তবাজার দর্শনের বিপরীতে সংরক্ষণবাদ নীতি-দর্শন প্রয়োগ করতে হবে। কারণ ধনী দেশের যারা নানা প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে, তারা সম্ভাব্য সব ধরনের সংরক্ষণবাদ নীতি অবলম্বন করেই ধনী হয়েছে, কিন্তু ধনী হওয়ার পরে ‘উপরে ওঠার মই লাথি মেরে সরিয়ে’ মুক্তবাজারে বাংলাদেশকে খেলতে বলছে—এসব হলো দ্বিচারিতা।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..