আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সেনারা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘শত্রুরা’ এখন ওবোলোনে পৌঁছে গেছে। এটি কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থল, কিয়েভের পার্লামেন্ট থেকে নয় কিলোমিটার দূরে।

তারা স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা মলোটভ ককটেল তৈরি করে পাল্টা লড়াই শুরু করে। সেই সঙ্গে অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে।

‘শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা-সতর্ক থাকুন। বাসা ছেড়ে বাইরে বের হবেন না।’

বিবিসির প্রতিনিধিরা শুক্রবার সকালের দিকে কিয়েভে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ মুহূর্তে গোলাগুলি কেন তা জানা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা এখন প্রকট বিস্ফোরণ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠের ডাইমার এবং ইভানকিভ শহরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। সেখানে রাশিয়ার বেশ কিছু সাঁজোয়া যান অগ্রসর হতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেইজে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, রাজধানীর উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। রুশ সৈন্যদের কিয়েভে প্রবেশ ঠেকাতে উত্তরপশ্চিমের টেটেরিভ নদীর সীমান্ত এলাকার একটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের সৈন্যরা।

কিয়েভের সড়কে ঘুরছে রুশ ট্যাংক
বিবিসি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, কিয়েভের উত্তরের একেবারে কাছের জেলা ওবোলোনের সড়কে রুশ ট্যাংক চলাচল করছে।

রুশ সৈন্যদের কিয়েভে টহলের ভিডিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়ি থেকে ধারণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসিও ভিডিওগুলো ওবোলোনে ধারণ করা বলে নিশ্চিত হয়েছে।

‘ইউক্রেনে রাশিয়ার ৪৫০ সৈন্য নিহত’
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে শুরু হওয়া বিশেষ সামরিক অভিযানে রাশিয়ার অন্তত সাড়ে ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য। শুক্রবার গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি রেডিও ফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।

একই সঙ্গে রাশিয়া প্রথম দিন ইউক্রেনের তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়দের লড়াইয়ের কারণে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে।

বেন ওয়ালেস বলেছেন, এই ব্যর্থতার কারণ পুতিনের অহংকারী চিন্তা-ভাবনা। তারা মনে করেছিলেন যে, পুতিন একজন মুক্তিদাতা। ইউক্রেনীয়দের প্রাণঘাতী অস্ত্রের কারণে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ট্যাংক এবং বিমানের সঙ্গে লড়াই করেছেন ইউক্রেনীয়রা।

ব্রিটিশ এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনে ৪৫০ সৈন্য হারিয়েছে। রাজধানী কিয়েভের একেবারে কাছে বিমানবন্দর দখল করতেও ব্যর্থ হয়েছে রুশ এলিট স্পেটসনাজ বাহিনী।