রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গেলো বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। এ সময় পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে আসা যাবে না। বন্ধ সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। তবে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খোলা রয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে। অন্যদিকে সরকারি ছুটিও। যানজটের শহরটা যেন একেবারে ফাঁকা। আজ রাস্তায় মানুষও কম এবং যানবাহনের তেমন কোনো চাপও নেই। যারা বের হচ্ছে সবাই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছে। আবার অনেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বাসায় ফিরছেন। রাজধানীর লিংকরোড, গুদারাঘাট, গুলশান-১ ও গুলশান-২, মতিঝিল, কারওরান বাজার, বিজয়স্বরনী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শ্যামলীসহ অনেক এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। গেলো দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় রিকশার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম।
আজ চেকপোস্টেও তেমন ব্যস্ততা দেখা যায়নি। দুয়েকজন যাত্রী চেকপোস্ট দিয়ে মাঝে মধ্যে যাচ্ছেন, তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কিনা চেক করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।মোহাম্মদপুরের রিকশাচালক কামাল বলেন, গেলোত লকডাউনের দুই দিনে অনেকগুলো ভাড়া মারছি। তবে অলিগলির মধ্যে দিয়ে রিকশা চালাতে হয়েছে। আজকে তো সব বন্ধ। মানুষ নাই। রাস্তা ফাঁকা। আজকে তো বেশি ভাড়া মারতে পারবো না।মোহাম্মদপুরের আরও এক রিকশাচালক বলেন, লকডাউনে আগের মতো করে ভাড়া মারতে পারেনি। পরিবার নিয়ে কেমন করে চলবো, জানি না। গুলশানের বাসিন্দা বেসরকারি এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, লকডাউন যেকয়েক দিন থাকবে সে হিসেব করে বাজার করে নিয়েছি যাতে আর বাসা থেকে বের না হতে হয়।