1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব: হাইল হাওরে সিন্ডিকেট চক্রের হাতে বিলে সেচের মহোৎসব

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪০৮৯ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওরে বিল সেচ দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারনে উপজেলা প্রশাসন সব অবগত হয়েও না জানার ভান করে নীরব ভূমিকা পালন করছে। বন্দোবস্ত দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোন তদারকির ব্যবস্থা। ফলে বিল সেচ করে মাছ ধরার কারনে বোর চাষে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। ধীরে ধীরে বিলুপ্তের দিকে দেশীয় জাতের মাছ। বিগত কয়েক বছর এলাকার মানুষ লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রশাসন নিচ্ছে না কোন সুষ্ঠ পদক্ষেপ। এলাকার প্রভাশালীর কাছে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি পাল্টা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। যার ফলে অভিযোগ বা তথ্য দিতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করতে চান কেউ। স্থানীয় প্রশাসন একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি ও সিন্ডিকেট চক্রের ছত্র ছায়ায় কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী দীর্ঘদিন যাবৎ বহাল তব্বিয়তে একি স্থানে চাকুরীর সুবাদে লুটপাট করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের উপর। জানা যায়, উপজেলার হাইল হাওরের রৌয়া শালদিঘা বিলটি বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ৩ বছরপূর্বে কান্ডারী মৎসজীবি সমিতিকে। কালাপুর ইউনিয়নের লামুয়া মৌজায় অবস্থিত বিলটির আয়তন ১১.৯৮ একর। বন্দোবস্ত গ্রহিতাদের সাবলীজ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও উক্ত মৎসজীবি সমিতিটি বেশি টাকায় সাবলীজ দেয় এলাকার অমৎসজীবি প্রভাবশালী এক ব্যক্তির হাতে। সাবলীজ প্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষমতার দাপটে বিল সেচ করে মাছ ধরে যাচ্ছেন। বিল যখন সেচ করে মা মাছসহ পোনাগুলো আহরণ করা হয় তখন থাকে না আর মাছের বংশ বিস্তারের সুযোগ। ফলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। শীত মৌসুমে হাওর শুকিয়ে সব পানিগুলো জমা হয় বিলের তলদেশে,তখন মাছ নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে একত্র হয় বিলের গভীরে। পূর্বে হাইল হাওরে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাস্থল থাকলেও বর্তমানে এদের মধ্যে ২১ প্রজাতির পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরোও ১১ টি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তের পথে প্রায়। এলাকা সূত্রে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক ইউপি সদস্য রৌয়া শালদিঘা বিলটি সাবলীজ এনে শক্তিশালী পানির পাম্প দ্বারা সেচ দিয়ে মাছ আহরণ করছেন। বন্দোবস্তের প্রক্রিয়ার সিডিউলে সাবলীজ দেওয়া সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরও সাবলীজ দিয়ে থাকে লীজ প্রাপ্ত সমিতি। এছাড়াও অব্যবস্থাপনায় বিলের কিছু অংশ পতিত অবস্থায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর এই ভরাট অংশটি দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এ বিল ভরাট হওয়া , দখল হওয়া , সেচ করে মাছ আহরণ করা বিষয় প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ইচ্ছে মত চলছে বিধি নিষেধ তোয়াক্কা করে মাছ আহরণ। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এব্যাপারে আমাকে কেউ কখনও বলেনি। আমি দেখবো আপনারা ইউএনও স্যারকে অবগত করুন। আমিও বিষয়টি স্যারকে বলবো,এটা মোবাইল কোর্ট করতে হবে। সরেজমিনে কখন যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাড়ীরও প্রয়োজন আছে কোন পথে যেতে হয় প্রতিবেদকের কাছ থেকে জানতে চান তিনি। অতচ বিলগুলো ইজারা কালে সমিতি গুলোর অডিটসহ বিল থেকে সমিতির দুরত্ব নির্ণয় করে রিপোর্ট দাখিল করেন এই কর্মকর্তা।

এই রিপোর্ট লেখার সময় তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বিলের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে বলেন, আমি বিল থেকে কিছু দুরে অবস্থান করছি। পানি সেচ চলতে দেখতেছি। একা এসেছি স্পট দেখে গিয়ে রিপোর্ট করবো এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও কাদাঁ মাটি পেরিয়ে স্পটে পৌছতে পারবো না। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্বে বিল সেচ করা শেষ হয়ে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সঠিক কোন উত্তর করতে পরেননি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..