1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ইউরোপে প্রাণহানি ১০ লাখ ছাড়াল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৬৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা বিশ্বে মোট মৃত্যুর তিনের একভাগ। শুক্রবারই বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখই ইউরোপে।  এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) ইউরোপীয় আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ তার উদ্বেগের কথা জানান। ফের সাবধান করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিনিধি বলেন, ‘যতই টিকাদান শুরু হোক না কেন, পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট ভয়ের।’

হান্স জানান, করোনা মহামারীর এক বছর পর এখনো প্রতি সপ্তাহে ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৬ লাখ মানুষ। অর্থাৎ ঘণ্টায় সাড়ে নয় হাজার জন। আর মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০ জন। ডাব্লিউএইচও-এর ইউরোপ শাখার আওতাধীন ৫৩টি দেশ। এর মধ্যে দু’টি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত নয়। এ দু’টি হচ্ছে রাশিয়া ও তুরস্ক। হান্স জানান, প্রথমে কিছু দেশে সংক্রমণ কমার সামান্য লক্ষণ দেখা গেছিল। কিন্তু তা দেখে সংক্রমণ হার কমেছে ধরে নেয়া ভুল হবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ইউরোপে শুধু প্রবীণদের মধ্যে সংক্রমণ কমতে দেখা যাচ্ছে। তবে হাসপাতালগুলোর অবস্থা এখনো একই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা জানান, তাদের কাছে নিয়মিত রিপোর্ট আসছে। হাসপাতালের আইসিইউতে জায়গা নেই। ফ্রান্সের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, এপ্রিল মাসে দেশটিতে আইসিইউতে রোগী ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড তৈরি হয়েছে। হান্সের মতে, টিকাদান কেমন চলছে, কী পর্যায়ে রয়েছে? -এ সব না ভেবে সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে যা যা করা উচিত, এ ক্ষেত্রে তাই করার পরামর্শ দিয়েছেন হান্স। না হলে ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়তে পারে যেকোনো সময়, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইটালি, ফ্রান্সের পাশাপাশি জার্মানির পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জার্মানির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট শুক্রবার জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২৯ হাজার ৪২৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে। এ নিয়ে গোটা দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে জার্মানিতে। মৃত্যু ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই। অর্থাৎ জার্মানিতে করোনায় মৃত্যু হার অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
প্রতি ১০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে জার্মানিতে। এ হিসেবে আরো এগিয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইটালি। ফ্রান্সে প্রতি ১০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে এক হাজার ৫২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ইটালিতে এক হাজার ৯১৩ জন। ব্রিটেনে এক হাজার ৮৬৫।

ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালিসহ গোটা ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়ার পেছনে নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা ধরণগুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ব্রিটেন অবশ্য এই পরিস্থিতিতেও লকডাউন শিথিল করেছে। আউটডোর ক্যাফে, রেস্তরাঁ ও দোকানপাটা খুলে দিয়েছে সরকার। চালু হয়েছে জিম। তিন মাস পরে খুলেছে চিড়িয়াখানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা আর উদ্বেগকে উপেক্ষা করেই দেশের মানুষকে চাঙ্গা করতে ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।  সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..