1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা, চড়াই-উৎরাইয়ের ৫১ বছর

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২
  • ১৬৯ বার পঠিত

মকিস মনসুর : স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা মানে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে।
২৬ মার্চ বাঙালির শৃঙ্খল মুক্তির দিন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ আর ১৯৭১-২০২২ চড়াই-উৎরাইয়ের ৫১ বছর, বিশ্বের দরবারে আমরা বহন করে চলছি বাংলাদেশের লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহা সড়কে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহঙ্কারের দিন। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে-পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় নিরস্ত্র জনতার ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে।পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্বর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আজ ও আমরা পাইনি, পাকিস্তান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, এ নিয়ে আমাদের আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন আর ও জোরদার করতে হবে, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাড়ি (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ভবন) থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইপিআরের ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ডাক দেন। ইংরেজিতে ঘোষণা করা সেই স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদ হলো, ‘এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগণ তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বাংলায় যে বার্তা পাঠান সেটি হলো, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতভাবে পিলখানা ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে, আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছি।
১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই জাতি এই দিনটিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। বাঙ্গালী জাতির বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে আমাদের মহান স্বাধীনতা..।
১৯৫২, ৬২,৬৪. ৬৬ আর ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ পেরিয়ে ৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় সবই বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামী ইতিহাসের এক একটি মাইলফলক। আর এই সংগ্রামের উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে সাড়া দেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ অপেক্ষামান জনতার সামনে এসে বাঙ্গালী প্রানের নেতা বঙ্গবন্ধু, কোন কাগজে লেখা কবিতা নয়, কারো বলে দেওয়া কোন ভাষন নয়, তাঁর হৃদয়ের গভীর অনুভুতি, দেশমাতৃকার প্রতি অসীম ভালোবাসা, বাঙ্গালীর প্রতি অসীম মমত্ত্ববোধ সবকিছু মিলিয়ে দ্বরাজ কন্ঠে পাঠ করলেন তার অমর কাব্য এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। সেদিনের দেয়া ভাষণে তিনি আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা, অধিকার এবং মুক্তি অর্জনে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। তার সেই বজ্রকণ্ঠের ভাষনটি ইতিমধ্যে সর্বকালের সকল বিপ্লবী মহানায়কদের ভাষনের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষনের পর একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। পাকিস্তান সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব ও বহুমাত্রিক শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘকালের সংগ্রাম, আপোসহীন আন্দোলন এবং একাত্তরের নয়মাস সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু এই দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার হানাদারদের সহযোগিতা করেছিল, যারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে পরিচিত। তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় শুধু সহযোগিতাই করেনি, নিজেরাও সংঘটিত করেছিল মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ। ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে একাত্তরের এই দিনে যে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ, দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন তার চূড়ান্ত পরিণতি। দেরিতে হলেও হয়েছে জাতিরজনক হত্যাকান্ডের বিচার। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে এখন ও চলমান আছে । ইতিমধ্যে বেশ কিছু মামলার রায় কার্যকর হয়েছে, আমরা আশা করি, বিদেশে পালিয়ে থাকা সকল দন্ড -প্রাপ্ত অপরাধীদের ধরে এনে এই বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে রায় কার্যকর করে জাতিকে পুরাপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য, ন্যায় ও গণতন্ত্র; স্বাধীনতার মর্মবাণী ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকÍসব ধরনের অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ সামনের পথে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার গনতন্ত্রের মানস কন্যা বঙ্গবন্ধুর তনয়া দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগীতা কামনা সহ মহান এই স্বাধীনতা দিবসের আজকের আমার লিখনির মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতীয় ৪ নেতা সহ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী. ও সকল সেক্টর কমান্ডারবৃন্দ এবং বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদান এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার ও নৃশংসতার শিকার দু লক্ষ মা-বোনদের প্রতিও রইল আন্তরিক সংহতি ও সহমর্মিতা, সালাম ও শ্রদ্ধা জানিয়ে যে কথাটি বলতে চাই যাদের অবদানের কারনে ভালোবাসা মিশ্রিত বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজকের এই বাংলা ও বাঙ্গালী। যাদের জন্য জাতি পেয়েছে লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের এই গৌরব উজ্জ্বল কাহিনী জানে না, চলে আসছে ইতিহাস বিকৃতির নগ্ন রাজনীতি, এথেকে আমাদের বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নব প্রজন্মের সামনে তুলতে ধরতে হবে এই হোক আজকের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আপনার -আমার – আমাদের দীপ্ত শপথ।
আজকের এই দিনে আবার ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরণ করি মুক্তি সংগ্রাম,স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের সকল বীর শহীদ ও বীর মুক্তিযুদ্ধাদের। এই শুভ লগ্নে আসুন সবাই মিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যারত্ন ম্যাদার অব ইউমিনিটি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানে তথা ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর এবং ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে, দুর্নীতি, মাদক,ও সন্ত্রাস মুক্ত মানবতা,অসাম্প্রদায়িকতা বাস্তবায়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা তথা ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নেওয়াই হোক মুজিব বর্ষের মূল লক্ষ্য জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, হৃদয়ের বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..