শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
মশাহিদ আহমদ: রাজনগরে ঐতিহাসিক “কমলা রাণীর দীঘি হোয়াটস্অ্যাপ গ্র“প” এর প্রতিষ্ঠাতা ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বৃটেন প্রবাসী আব্দুল মালিকসহ দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগীতায় “কমলা রাণীর দীঘি হোয়াটস্অ্যাপ গ্র“প” এর পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে এক হাজার টাকা করে ৪শত পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে আজ ২১ এপ্রিল। ১ম ধাপে সকাল ১১টায় মৌলানা মুফজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজে “কমলা রাণীর দীঘি হোয়াটস্অ্যাপ গ্র“প” এর পরিচালক আকলু মিয়া‘র সভাপতিত্বে ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদ ও কলামিস্ট এম. খছরু চৌধুরী এর সঞ্চালনায় নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- রাজনগর মৌলানা মুফজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল। আমন্ত্রিত অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও সমাজ সেবক খালেদ চৌধুরী, মৌলানা মুফজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক শাহানারা রুবি, রাজনগর উপজেলা বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আরজান খাঁন, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ, রাজনগর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক আক্তার হোসেন সাগর, “কমলা রাণীর দীঘি হোয়াটস্অ্যাপ গ্র“প” এর সমন্ময়কারী মাহমুদুল হক, গ্র“প” এর এডমিন রাসেল আহমদ। পর্যায়ক্রমে বিতরণ কার্যক্রম এর অংশ হিসাবে খেওওয়াঘাট বাজার স্কুল, বিমলা চরণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজালাল কমিউনিটি সেন্টার, মশাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এর বাসা, কর্ণিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুরাউরা মাদ্রাসায় পৃথক পৃথক অনুষ্টানের মাধ্যমে নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা ওয়াহিদ নোমানী, মাওলানা আঃ মুহিত, সাইফুল মিয়া, লকুছ আহমদ, আশিকুর রহমান, ওয়াহিদ মিয়া, তাহিরুল ইসলাম, নিয়ামত খাঁন, মোয়াজ্জিম হোসেন, আব্দুল মতিন, দিলওয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, আয়না মিয়া ও সৈয়দ টিপু আলী প্রমুখ। উলেখ্য- মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় প্রায় ৪শত বছর পূর্বে রাজা রাজন্যের বসবাস ছিল। সুবিদ নারায়ণের স্ত্রী কমলারানীর নামেই দীঘিটি সমধিক প্রচারিত আছে, প্রজা হিতৈষী রাজা সুবিদ নারায়ণ শুষ্ক মৌসুমে জনসাধারণের প্রাণী ও জলের সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি দীঘি নির্মাণের পরিকল্পনা নেন। ১৫০ বিঘা জমি নিয়ে বিস্তৃত এই দীঘি খনন করা হয়। তৈরি হয় শান বাঁধানো ঘাট। জনশ্রুতি আছে দীঘিতে পানি উঠছিল না রহস্যজনক ভাবে। শান বাঁধানো ঘাট দিয়ে রানী দীঘিতে নেমে মন্ত্রপাঠ শেষে দীঘির বিরাণ জমিতে সাষ্টাঙ্গের প্রণাম জানানোর পরই মাটি ভেদ করে জলের উদগিরণ শুরু হয়। দীঘিতে কোমর সমান পানি হলে রানী সেই জলে স্নান করেন। এরপর মধ্য দীঘি থেকে ঘাটে আসার আগেই অথৈ জলে কমলারানী ডুবে যান। এই বিয়োগান্তক প্রেক্ষাপটে এলাকায় শোকের পাশাপাশি বহুবিধ কল্পকাহিনী ডানা মেলে।