1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বৃষ্টিপাত ও বন্যার সম্ভাবনা: মৌলভীবাজারে শিক্ষকরা কেটে দিচ্ছেন কৃষকের ধান

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮২ বার পঠিত

বিকুল চক্রবর্তী: শ্রীমঙ্গল থেকে: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভারী বৃষ্টিপাত ও হাওর অঞ্চলে বন্যার আশংকা রয়েছে। তাই দ্রæত পাকাধান কেটে ঘরে তুলার জন্য কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘোষনা দিলে শ্রীমঙ্গলের সাধারণ কৃষকরা অনেকটা দুশ্চিন্তাগস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শ্রীমঙ্গলের প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার উদ্যোগ নেয় কৃষকদের ধান কেটে দেয়ার। তারা তাদের ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রæপে লিখে সবাইকে জানানদেন বৃহস্পতিবার সকালে হাইল হাওরে ধান কাটতে যান।

ঘোষনা অনুযায়ী শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরতলীর প্রায় অর্ধশত শিক্ষক গামছা মাথায় বেঁধে কাস্তে হাতে নিয়ে নেমে পড়েন ধান কাটতে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের হাইল হাওর সংলগ্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউএনও এর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক হাতে কাস্তে নিয়ে ধান কাটছেন। কাজের গতিও বেশ। একজন সাধারণ কৃষকের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
এ সময় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের এই ধান কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নজরুল ইসলাম ঘরে বসে থাকা মানুষকে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের পাকা ধান কেটে দেয়ার আহবান জানান। তাঁর এই আহবানে সারা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন। তিনি জানান, শিক্ষকরা তা করছেন বিপুল উৎসাহ নিয়ে এবং ধান কাটার গতিও সাধারণ কৃষকের ন্যায়। দুই ঘন্টায় তারা কয়েক একর ধান কেটে দেন। তিনি জানান, এ সময় তাদের সাথে ধান কাটেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বয়ং। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টানা দুই ঘন্টা একটানা ধান কেটেছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয় এসময় মাঠে উপস্থিত থেকে ধান কাটেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেছার উদ্দীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বর্ধন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর প্রমূখ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মুনালিসা সুইটি জানান, এ মৌসুমে উপজেলার ৯ হাজার ৬ শত ৫২ হেক্টর জমিতে বুরে‌্যা ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাওর অঞ্চলের নিচু জায়গায় ৩ হাজার ৭শত ২৭ হেক্টর জমি রয়েছে। যে জমি গুলো মুলত ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে হাওরের প্রায় ৪০ ভাগ ধান কাটা হয়েগেছে বলে জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও হাওর অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে প্রায় ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে। হঠাৎ যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এই পাকা ধানগুলো পানির নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি জানান, একজন কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে দেশের উৎপাদিত ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া। তাই দেশের এ কৃষি সম্পদ রক্ষায় তিনি কৃষি অফিসের সাথে আলোচনা করে ফেইসবুকে স্বেচ্ছায়শ্রমে ধান কেটে দেয়ার ঘোষনা দিলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার এগিয়ে আসে।
তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার ছাড়াও ধান কেটে দেয়ার জন্য দল বেঁধে আরো অনেক সংগঠন এগিয়ে আসছে।

তিনি ধান কেটে দিতে এগিয়ে আসা সংগঠন গুলোকে একেক দিন একেক জায়গায় ধান কেটে দেয়ার অনুরোধ করেন। একই সাথে তিনি শুক্রবার শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নে ধান কেটে দিবেন বলে জানান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..