মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের আদেশ দিয়ে শনিবার ফের অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ চতুর্থ দিনের মতো এ মামলার শুনানি করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে এ রায় দেন। রায়ে পাঁচ বিচারপতির সবাই একমত প্রকাশ করেছেন।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবটি সংসদে উঠলে গত সোমবার ভোটাভুটির জন্য দিন নির্ধারণ হয়। তবে সেদিন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি। পরে বিরোধীরা ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে চতুর্থ দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতি হলেন- ইজাজুল আহসান, মাজহার আলম মিয়াঁখেল, মুনিব আখতার ও জামাল খান মান্দোখাইল। শুনানিতে বন্দিয়াল বলেন, দেশটিতে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা নিরসনে পিএমএল-এন কৌঁসুলি এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজিপি) খালিদ জাভেদ খান আদালতকে নির্দেশনা দেবেন৷ সবার আগে আমাদের জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে।
শুনানির সময় সিজেপি বন্দিয়াল বলেছিলেন, কাসিম খান সুরির ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের রায়টি ভুল। ডেপুটি স্পিকারের ঘোষণা করা রায়ে স্বাক্ষর ছিল স্পিকারের। শুনানিতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে তাদের আইনজীবী নাইম বুখারি যুক্তিতর্ক করার সময় বিষয়টি নজরে আনেন বিচারপতি মান্দোখেল। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে বুখারি বলেন, সম্ভবত বিচারপতিকে যে নথি দেওয়া হয়েছে, তা ‘আসল’ নয়।
মান্দোখেল বলেন, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে বুখারির জমা দেয়া কোনো ডকুমেন্টস ই তার উপস্থিতি প্রমাণ করতে পারেনি। এমনকি পার্লামেন্টারি কমিটির মিটিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন কিনা এটাও প্রমাণিত হয়নি। কারণ রেকর্ডে তার স্বাক্ষর ছিল না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফ এর নামও রেকর্ডে নেই।