1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে ধীরগতি: ৮মাসে বরাদ্দের এডিপি বাস্তবায়ন ৩৭শতাংশ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৬৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, দাতা সংস্থার অর্থছাড় না করা ছাড়াও প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এডিপি বাস্তবায়ন কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার জন্য অনেক দাতা সংস্থার অর্থ ছাড় করছে না। এছাড়াও প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাস্তবায়ন কমে গেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির ৮৪ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এ ব্যয় আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৭২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। আগের পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়নের হার দ্বিতীয় সর্বনিম্ম। কোভিডের প্রভাবে এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে সবচেয়ে কম ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল। এডিপি বাস্তবায়নে জড়িত বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বেশি ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ বরাদ্দ ব্যয় করতে পেরেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ মার্চ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৪টি প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ চার হাজার ২৫১ কোটি টাকা।
এরমধ্যে জিওবি খাতে এক হাজার ৫২২ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে দুই হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট দুই হাজার ৯১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ-আইএমইডির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ আট মাসে এডিপি বাস্তবায়নে জড়িত ৫৮টির মধ্যে আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১০ শতাংশও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
এরমধ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কাজের অগ্রগতি শূন্য। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকার দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব ১২ হাজার ৯০১ কোটি টাকাসহ মোট দুই লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়।
আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থবছরের আট মাস চলে গেলেও এডিপি বাস্তবায়নে জড়িত বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বেশি ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ বরাদ্দ ব্যয় করতে পেরেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বরাদ্দ ব্যয় করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ৪৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
এছাড়াও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ৩৯ শতাংশ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় করেছে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। আট মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাস্তবায়ন করেছে ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাকিগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩০ শতাংশও হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ শতাংশের নিচে অর্থ ব্যয় হয়েছে এমন সংস্থা ও বিভাগের মধ্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২ দশমিক ১৬ শতাংশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, আইএমইডি ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, অর্থ বিভাগ ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা-১) ফিরোজ আল মামুন আমার সংবাদকে বলেন, ‘এমনও প্রকল্প আছে যেখানে টেন্ডার দেয়ার পর যে ভ্যেলু পাওয়া গেছে তা প্রকল্পের যে প্রাক্কলিত ব্যয় তার চেয়ে অনেক কম।
তিনি বলেন, কিছু প্রকল্প আছে যেখানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাদের টাকা বাড়াতে চায় না। তখন ডিপিপি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়, অনেক সময় সংশোধন না হলে ওয়ার্ক ওর্ডার দেয়া যায় না। এসময় টাকা খরচ করা যায় না ফলে আমাদের যে বরাদ্দ তা কমে যায়। তবে তিনি আরও বলেন, করোনার জন্য বিভিন্ন বিদেশি দাতা সংস্থা অর্থ ছাড় করতে দেরি করায় আমাদের প্রকল্পের ব্যয় কম হচ্ছে।
এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপসচিব বলেন, আমরা মূলত রেগুলারিটি অথিরিটি আমাদের কাজের ক্ষেত্র সে রকম নয়। তিনি বলেন, আমাদের বড় প্রকল্পে ব্যয় ১৩৮ কোটি টাকা। এখানে সরকার ব্যয় করে ৩৫ থেকে ৬০ লাখ টাকা আর বাকি অর্থ খরচ করে বিদেশি দাতা সংস্থা।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রকল্পগুলোতে বিদেশি স্টেক হোল্ডাররা টাকা ছাড় না করায় অর্থ ব্যয় একেবারেই কম। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, আমাদের জাপানে ট্রেনিংয়ের জন্য জাইকার অর্থ দেয়ার কথা ছিল। জাপানে করোনা পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় আমরা বলেছিলাম অন্য কোনো দেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে কিন্তু তা হয়নি।
এডিপির অগ্রগতি কম হওয়া প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়র পূর্ব কেনাকাটা দেরি হয়। এ সমস্যাগুলো আজকের বিষয় না, প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আমাদের সরকারগুলোর সমস্যা আছে।
তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ যে সমস্যা আমরা এখনো তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে অর্থবছরের প্রথম দিকে এডিপি বাস্তবায়নে গতি পায় না। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি বিদেশি সহায়তার অর্থ দেরিতে ছাড়করণের কারণও হতে পারে। এছাড়া সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব তো কম আহরিত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়ও কম দেয়া হয়। এ বছর অর্থছাড় আরও কমে যাবে।
কারণ হিসেবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, অনেক প্রকল্পব্যয় বহুগুণে বেড়ে গেছে। রড-সিমেন্টেসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। ঠিকাদাররা কাজ করছেন না। তারা আশায় আছেন নতুন করে প্রকল্প ব্যয় রিভাইজড করা হবে, বাড়িয়ে দেয়া হবে ব্যয় এবং তারপর তারা কাজ করবে। কাজেই এ বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও খারাপ হবে বলে জানান আহসান এইচ মনসুর।  সুত্র: দৈনিক আমার সংবাদ

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..