বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক :: ফের ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরও একটি টেস্ট হারের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটাও হয়েছে নড়বড়ে। ৪১৩ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর ৬ উইকেটে ১৪ ওভারে ৪৪ রান। ক্রিজে আছেন লিটন দাস (১১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০)।
আগের দিন ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এদিন নামে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। সিমোন হারমারের অসম্পূর্ণ ওভারটির ৪ বলেই বিপদের সম্ভাবনা ছিল। একবার এলবিডাব্লিউর আবেদন নাকচ হলেও ক্যাচও উঠেছিল। এই ওভারে কোনওভাবে রক্ষা পাওয়া মুশফিক পরের ওভারে আর টিকতে পারেননি। কেশব মহারাজের ঘূর্ণি বলে স্লিপে সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন এলগারের। ফেরার আগে করতে পারেন মাত্র ১ রান।
এক ওভার বিরতি দিয়ে আবারও উইকেট শিকার করেন মহারাজ। এবার সাজঘরে মুমিনুল। বলতে গেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিলাসী সুইপ শট করতে গিয়ে বল বাতাসে তুলে দিয়েছেন। স্কয়ার লেগে তার সহজ ক্যাচ লুফে নেন রিকেলটন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক এই ইনিংসেও ফিরলেন মাত্র ৫ রানে।
টেস্ট খেলা অথচ সেই মেজাজে খেলতে দেখা গেলো না পরের ব্যাটার ইয়াসির আলীকেও। হারমারের বলে মেরে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। তাতে রানের খাতা না খুলেই ফিরেছেন ইয়াসির।
তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে ৪১৩ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য ছুড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে। তাতে প্রোটিয়ারা পায় ৪১২ রানের লিড।
অথচ পরিসংখ্যান বলছে এই লক্ষ্য তাড়া করতে সেন্ট জর্জেস পার্কের ইতিহাসই বদলাতে হবে। কারণ, এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৭০ রান তাড়া করে জেতার নজির আছে। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেটি করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অজিরা জিতেছিল ২ উইকেটের ব্যবধানে। কিন্তু বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা তো পাহাড়সম।
ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়তো দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় বলেই মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তাও রানের খাতা না খুলে। তৃতীয় ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকেও এলবিডাব্লিউ করেছেন এই বামহাতি। দিনের শেষ বলে তামিমকেও ১৩ রানে তালুবন্দি করেন হারমার। এখন চতুর্থ উইকেটের পতনে প্রতিরোধটা কতক্ষণ টেকে সেটাই দেখার।
প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৬ রানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ব্যাটিং করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে। এক তাইজুলের ঘূর্ণি আবারও স্বাগতিকদের বিভ্রান্ত করেছে। বড় জুটি উপহার দিতে পারেনি। সারেল এরউই সর্বোচ্চ ৪১ রান করলেও তাতে ছিল ভাগ্যের ছোঁয়া।
এই ইনিংসেও ঘূর্ণিজাদু দেখানো তাইজুল ৬৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৪ রানে নেন দুটি। একটি নেন খালেদ আহমেদ।