বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সাখাওয়াত লিমন: গরমে বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। শ্রীমঙ্গলের হাট-বাজারগুলো তরমুজে ভরে উঠেছে মধুমাস আসার আগেই। সুস্বাদু এই ফলের স্বাদ নিতে অনেকেই কেনার চেষ্টা করলেও চড়া দামের কারনে অনেকেই কিনতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আস্তে আস্তে দাম কমতে শুরু করবে। শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন ফলের দোকান এবং বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতিটি তরমুজ ২শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিলেট অঞ্চলে তরমুজ উৎপাদন হয়না বললেই চলে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা, সুনামগঞ্জ, সেন্টমার্টিন ও বরিশাল থেকে তরমুজ আনা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আগাম ফলন ও লকডাউনে পরিবহন খরচ বেশী হওয়ায় তরমুজের দাম এখন বেশী। তবে পুরো মৌসুমে এ ফলের দাম ক্রেতাদের নাগালে এসে যাবে।
শ্রীমঙ্গলের একজন ফল ব্যাবসায়ী জামাল হোসেন জানান বরিশাল থেকে তরমুজ আসছে। সর্বনিম্ন ১ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১২শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান। তবে পরিবহন স্বল্পতায় হওয়ায় দাম একটু বেশী পড়ছে। পুরু মৌসুমে তরমুজের দাম ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকায় নেমে আসবে বলে তিনি জানান।
শনিবার দুপুরে তরমুজ কেনার সময় সরকারি কর্মকর্তা নাসির আহমেদ রাসেল বলেন, গরমের তীব্রতা না থাকলেও গ্রীষ্মের এই ফলটি তিনি শখ করেই কিনেন পরিবারের জন্য। ফলের তালিকার মধ্যে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে তরমুজ। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কেনা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন। একটি তরমুজ ওজন করলে নিম্নে ছয় থেকে সাত কেজি হচ্ছে। এতে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা বা তার ওপরে দাম হয়ে যাচ্ছে। ফলে সুস্বাদু ফলটির স্বাদ নিতে অনেকেই কেনার চেষ্টা করছেন, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল শহরের একজন ফল ব্যাবসায়ী খোকন মিয়া ১৬০-১৮০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে জানান। তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, ফাল্গুন মাসের শেষ থেকে শুরু হবে তরমুজের মৌসুম বৈশাখ মাস শুরুর কয়েকদিন পর থেকেই তরমুজের দাম কমে যাবে। আর তিন মাস যাবৎ তরমুজই মাতিয়ে রাখবে ফলের বাজার।