1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

করোনাকালে সংসার ৭৮ শতাংশ নারী-প্রধান পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪৫ বার পঠিত
অনলাইন ডেস্ক: মহামারি করোনাকালে বাংলাদেশের প্রায় ৭৮ শতাংশ নারী-প্রধান পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন মহামারিতে।একইসঙ্গে তাদের সংসারে কাজের চাপও বেড়েছে।সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সংসারে সেবাকাজের দ্রুত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার ‘ফরমাল রিকগনিশন অব উইম্যান’স আনকাউন্টেড ওয়ার্ক’ এর উদ্যোগে এক ওয়েবিনারে জরিপটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী।ফোরামটির সঙ্গে পাঁচটি সদস্য সংস্থা রয়েছে। সেগুলো হলো- মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থা, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও অক্সফাম।
২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নয়টি গ্রাম ও শহরে জেলাগুলোতে এই জরিপ চালানো হয়। যেখানে ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৮৭ শতাংশ নারী ও ১৩ শতাংশ পুরুষ অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ গৃহিনী ও অন্যরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত জানানো হয়েছে। জরিপে আরো জানা গেছে- এই করোনাকালে রান্না করা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ধোয়ার কাজ গ্রামীণ নারীর মতো হলেও শহরে নারীর কাজ ১২৮ শতাংশ বেড়েছে।জরিপের তথ্য বলছে, করোনার আগে সাড়ে ৭১ শতাংশ গৃহিণী প্রতি দিন ৩-৫ ঘণ্টা গৃহস্থালির কাজ করতেন। কিন্তু করোনাকালে তাদের মধ্যে প্রায় ৩৮ শতাংশ গৃহিণীর ব্যস্ততা বেড়েছে গৃহস্থালির কাজে। আর করোনা চলাকালীন ৮৫ শতাংশ কর্মজীবী নারীকে প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় গৃহস্থালির কাজে দিতে হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, যখন অভাবের কারণে সম্পদ হাতছাড়া হতে শুরু হয় তখন এর মধ্যে ‘জেন্ডার কস্ট’-এর ইস্যু লুকিয়ে থাকে। কারণ অভাব-অনটনের সময় নারীর সম্পত্তিই প্রথমে হাতছাড়া হয়। অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে প্রথমে পাড়া প্রতিবেশীর থেকে ধার করে মানুষ। এরপর ছোটখাট জিনিস যেমন স্বর্ণালংকার ও ছোট পশুপ্রাণী বন্ধক রাখা হয়, যেগুলোর মালিক সাধারণত নারীই হয়ে থাকে। এরপর আসে বাড়ি, জমি বা গরু বিক্রি। অভাবের সময় যৌক্তিক কারণেই নারীর মালিকানাধীন ছোটখাট জিনিস আগে বিক্রি করা হয়। সেক্ষেত্রে সবদিক থেকেই নারীই সর্বস্বান্ত হয় প্রথমে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। ওয়েবিনারে জরিপের ওপর আলোচনা করেন বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, অক্সফাম উম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রামের ম্যানেজার সারা হল, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউএন উম্যানের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সোকো ইশিকাওয়া, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর প্রমুখ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..